মেয়ের ধর্ষক দিলশাদ হুসেনকে আদালতের সামনেই গুলি করে হত্যা করলেন প্রাক্তন BSF জওয়ান
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মেয়ের ধর্ষককে আদালতের সামনে গুলি করে হত্যা করলেন প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের সিভিল কোর্টের সামনে। মৃত ওই ধর্ষকের নাম দিলশাদ হুসেন (২৫)। তিনি বিহারের মুজফফরপুরের বাসিন্দা। মাস দুয়েক আগে জামিন পেয়েছিলেন দিলশাদ।
অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলায় শুক্রবার গোরক্ষপুর আদালতে যান তিনি। আদালতের গেটের সামনে আইনজীবীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন দিলশাদ। দিলশাদের আইনজীবীর সেখানে আসার আগেই পৌঁছন প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান ভগবত নিশাদ এবং তাঁর ছেলে নন্দলাল। অভিযোগ, এর পরই নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক থেকে দিলশাদের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করেন ভগবত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দিলশাদের।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ধর্ষককে শুক্রবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হুসেন তার আইনজীবী শঙ্কর শরণ শুক্লা আদালতের ফটকে দেখা করতে বলেছিলেন। হুসেন তার আইনজীবীর সাথে দেখা করার আগেই ভাগবত নিষাদ তার লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে হুসেনের মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত মৃত্যু হয়।এরপরেই প্রাক্তন ওই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
आज कलेक्ट्रेट परिसर के पास वादी भागवत निषाद द्वारा प्रतिवादी दिलसाद हुसैन को गोली मार दी गयी। आरोपी को मय असलहा पकड़ लिया गया है। मृतक स्वयं आरोपी के नाबालिग बेटी से दुष्कर्म का आरोपी था। मौक़े पर सभी वरिष्ठ अधिकारी मौजूद है
— Gorakhpur Police (@gorakhpurpolice) January 21, 2022
এ বিষয়ে এসএসপি ভিপিন টাডা জানিয়েছেন, “সিভিল কোর্টের গেটে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট আসার পর মামলা দায়ের করা হবে।
এডিজি অখিল কুমার বলেছেন, প্রাক্তন ওই বিএসএফ জওয়ান নিষাদ কীভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন তা তদন্ত করে দেখা হবে। যেই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা হুসেন গোরখপুরের বদলগঞ্জ এলাকায় নির্যাতিতার বাড়ির পাশে একটি গ্যারেজ চালাতেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ানের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে হুসেন। ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) এবং শিশু যৌন অপরাধ প্রতিরোধ (POCSO) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় তার বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
১২ মার্চ অপহরণের প্রায় এক মাস পরে, পুলিশ হায়দরাবাদ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। হুসেন কিছু সময়ের জন্য জেলে থাকে এবং মাস দুয়েক আগে জামিনে মুক্তি পান।