পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘে কড়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক প্রশ্ন। বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা পাকিস্তানকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করান। বিশেষত, লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের আঁতাত এবং এই জঙ্গি সংগঠনের পহেলগাম হামলায় প্রত্যক্ষ যোগ উঠে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে জানানো হয়, পহেলগামের বৈসরণ ভ্যালিতে যে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন, তা মানবাধিকারের জঘন্য লঙ্ঘন এবং এর পেছনে পাকিস্তানের সক্রিয় মদত থাকার প্রমাণ যথেষ্ট। ফলে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ইসলামাবাদকে একাধিক কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে—লস্কর কেন পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় পায়, তারা ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য কেন এতটা প্রশ্রয় পায়, এবং পাকিস্তান সরকারের ভূমিকাই বা কী?
এছাড়াও বৈঠকে সম্প্রতি পাকিস্তানের পরপর দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা মত প্রকাশ করেন, আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এমন পদক্ষেপের কোনও ন্যায়সংগত ভিত্তি নেই এবং এতে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র। কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে নয়াদিল্লি। এমনকি ভারতের তরফ থেকে প্রতিরোধমূলক হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়ায় আমরা যে কোনও সময় প্রত্যাঘাতের মুখে পড়তে পারি।”
রাষ্ট্রসংঘের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে পাকিস্তানের ভূমিকা আর বিশ্বমঞ্চে গোপন থাকছে না।