Wednesday, November 19, 2025
Latestদেশ

‘বিহারে ক্ষমতায় এলে ওয়াকফ আইন ছুঁড়ে ফেলে দেব’, প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে আবারও মুসলিম ভোট নিয়ে রাজনীতি। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, বিহারে সরকার গঠন করতে পারলে রাজ্যে ওয়াকফ আইন কার্যকর করা হবে না। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “ওই আইন আমরা ছুড়ে ফেলে দেব। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ওই আইন আমরা বিহারে চালু হতে দেব না।”

সরাসরি আক্রমণ অমিত শাহকে

তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনি আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন। মনে রাখবেন, আমার বাবা মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় লালকৃষ্ণ আদবানির মতো ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছিলেন।” তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছে।

লক্ষ্য মুসলিম ভোট 

বিহারের উত্তর ও সীমাঞ্চল অঞ্চল যেমন পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কাটিহার, মাধেপুরা ও কিষানগঞ্জ মুসলিমবহুল এলাকা। ফলে এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ মূলত মুসলিম ভোটের ওপর নির্ভরশীল। ঐসব এলাকায় সরকারি সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম—শুক্রবার সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। বিজেপি বরাবরই এই নিয়ম পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। তবে জেডিইউ এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছেন, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক হারানোর আশঙ্কায়।

বিজেপির পাল্টা প্রচার

অন্যদিকে বিজেপি সক্রিয়ভাবে প্রচার চালাচ্ছে যে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের পক্ষে। হিন্দু ভোট একত্রিত করার লক্ষ্যে বিজেপি এই ইস্যুতে প্রচার জোরদার করেছে। 

আরজেডি ও ইন্ডি জোটের কৌশল

বিহারে মোট মুসলিম ভোটার প্রায় ১৭ শতাংশ। আরজেডির ঐতিহ্যগত ‘এম-ওয়াই’ (মুসলিম-যাদব) সমীকরণের ওপর ভিত্তি করেই বিরোধী জোট প্রার্থী এবং ইস্যু বাছাই করছে। সীমাঞ্চলের সভাগুলিতে তেজস্বী যাদব ও জোট নেতারা সংখ্যালঘু সুরক্ষার ইস্যুতে একজোট বার্তা দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংবিধানবিরোধী এবং এটি রাজ্যে কার্যকর হতে দেওয়া হবে না।