Thursday, April 18, 2024
কলকাতা

নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ চাকরি খারিজ উচ্চ আদালতের রায়ে; যোগ্যদের ৩৪৫ দিন ব্যাপী ধর্ণা জারি

নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় কোলকাতা উচ্চ আদালতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। শেখ ইনসান আলি নামে এক শিক্ষক যিনি মেধাতালিকায় অনেক পেছনে থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছিলেন; তার চাকরি মঙ্গলবার খারিজ করেছে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। একই সাথে এস এস সির যেসব চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান ইন চার্জ এর আমলে এইসব নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ; তাদের মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারা কোনো প্রভাবশালীর অঙ্গুলিহেননে নিয়োগের এই নির্দেশ দিয়েছেন কিনা তা একমাত্র সিবিআই তদন্ত হলেই দুর্নীতির সাথে জড়িত মুল চক্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য; ২০১৯ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২৯ দিনের যে দীর্ঘ অনশন হয়; সেখানে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে পাঁচকমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। সরকারি কমিটির সাথে আন্দোলনকারীদের আলোচনার সৌজন্যে ঐ পাঁচ কমিটির একাংশ ওয়েটিং লিস্টের পেছনে থাকা সত্ত্বেও সামনের সারিতে থাকা প্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজেদের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠজনের চাকরি সুনিশ্চিত করে।

আন্দোলনকারী রাকিব হোসেন; কোয়েল দে; পাপিয়া নন্দী; সুজিত শর্মা; খুরশিদ আলম; খাইরুল আনম জানিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সম্পর্কে অবহত হয়েই বলেছিলেন মেধাতালিকা থেকে কেউ বঞ্চিত হবেনা। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি তো বাস্তবায়িত হয়নি; বরং ক্রমাগত অবৈধ নিয়োগ বেড়ে চলেছে। তার প্রতিবাদে আমরা সল্টলেকে ১৮৭ দিনের দীর্ঘ অনশন করি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের নিয়োগের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বর্তমানে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আমরা ১২৯ ব্যাপী অনশন করছি। ৩দফায় এই আন্দোলন সর্বমোট ৩৪৫ দিন ব্যাপী চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো দুর্নীতির কারণে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা যতক্ষণ না তাদের ন্যায্য চাকরি পাচ্ছে; সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে চলা এই আন্দোলন ততদিন জারি থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন।