৯ ঘণ্টার পথ মাত্র ৩৬ মিনিটে! সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ রোপওয়ে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: হিমালয়ের দুর্গম পথে দীর্ঘ ট্রেকিং আর নয়! এবার মাত্র ৩৬ মিনিটে কেদারনাথ পৌঁছে যেতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। মোদী সরকারের ‘জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির’ অধীনে উত্তরাখণ্ডে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদিত এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪,০৮১ কোটি টাকা।
দীর্ঘ যাত্রা সংক্ষিপ্ত হবে আধঘণ্টায়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, বর্তমানে তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথে পৌঁছাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় লাগে, যা রোপওয়ে চালু হলে মাত্র ৩৬ মিনিটে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর পথের বদলে এবার দর্শনার্থীরা রোপওয়েতে চড়ে সহজেই পৌঁছতে পারবেন কেদারনাথ ধামে।
কেদারনাথের পাশাপাশি হেমকুন্ড সাহিবেও রোপওয়ে
শুধু কেদারনাথ নয়, উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে শিখদের অন্যতম পবিত্র ধর্মস্থান হেমকুন্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২,৭৩০.১৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হেমকুন্ড সাহিবের পাশাপাশি বিখ্যাত ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স’-এ যাতায়াত আরও সহজ হয়ে যাবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে হবে নির্মাণ
সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের (PPP মডেল) মাধ্যমে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। রোপওয়ে চালু হলে প্রতিদিন ১৮,০০০ যাত্রী এই পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন।
বয়স্ক তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা পাবেন বয়স্ক তীর্থযাত্রীরা, যাঁদের পক্ষে দীর্ঘ ট্রেকিং করে কেদারনাথ পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে ওঠে। রোপওয়ে ব্যবস্থার ফলে তাঁদের জন্য তীর্থযাত্রা অনেক সহজ ও আরামদায়ক হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই রোপওয়ে প্রকল্প শুধু তীর্থযাত্রীদের সুবিধা দেবে না, বরং উত্তরাখণ্ডের পর্যটনকেও আরও উজ্জীবিত করবে। কেদারনাথ ও হেমকুন্ড সাহিবে যাতায়াত সহজ হওয়ায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে এবং স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দুর্গম পাহাড়ি পথে দীর্ঘ ক্লান্তিকর যাত্রার বদলে আধঘণ্টার মধ্যেই তীর্থযাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন, যা নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী।
