মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনে ধৃত জিয়াউল শেখ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে ১১ ও ১২ এপ্রিল অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। জাফরাবাদে বাবা-ছেলে—হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে খুনের মামলায় চতুর্থ ব্যক্তি জিয়াউল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে পাশের সুলিতলা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জিয়াউল শেখ এলাকায় চলা হিংসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। অভিযোগ, স্থানীয় একাংশকে সে উস্কে দিয়েছিল এবং হামলার অন্যতম প্রধান ‘উদ্যোক্তা’ ছিল। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি তাকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা জানান, “ডিজিটাল তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে জানা গিয়েছে, খুনের সময় জিয়াউল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।” তিনি আরও জানান, হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং মোট গ্রেফতারির সংখ্যা ২৭৬-এ পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, জাফরাবাদের এই খুনের ঘটনায় যাদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের মতে, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিতভাবে।
পুলিশ তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, হিংসার নেপথ্যে কারা কারা রয়েছে, কারা বাইরে থেকে এসে উস্কানি দিচ্ছিল বা অর্থ জোগান দিচ্ছিল, তা নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে। পুলিশের নজর এখন মূলচক্রীদের খুঁজে বের করার দিকেই।