বুমরাহ-অশ্বিন ঝড়ে ১৯৫ রানে গুটিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
মেলবোর্ন: চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জোরালো ধাক্কা দিলো ভারতীয় বোলাররা। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই টস জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার-সহ তিনজন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন জসপ্রীত বুমরাহ-রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। বার্নসকে আউট অজি শিবিরে প্রাথমিক ধাক্কা দেন বুমরাহ। পরে অশ্বিন তুলে নেন ম্যাথিউ ওয়েড ও স্টিভ স্মিথের উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সংগ্রহ ১৯৫ রান। অন্যদিকে, দিনশেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে অপরিবর্তিত থাকে তাদের দল। এদিকে, ভারতের টিমে পৃথ্বী শ’র বদলে টেস্ট অভিষেক হয় শুভমন গিলের। ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্তে মাঠে নামেন ঋষভ পন্ত। বিরাট কোহলির বদলে রবীন্দ্র জাদেজা। শামির জায়গায় টেস্ট অভিষেক হয় মহম্মদ সিরাজের।
ওপেনার জো বার্নসকে বিনা রানেই সাজঘরে ফেরান জাসপ্রীত বুমরাহ। আরেক ওপেনার ম্যাথু ওয়েড সাজঘরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক ওভার বাদেই স্টিভ স্মিথকেও সাজঘরে ফেরান অশ্বিন। রানের খাতা খুলতে পারেননি স্মিথ।
৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মারনাস লাবুশেন ও ট্রেভিস হেডের ৮৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১০ রানের ব্যবধানেই তাদেরকে সাজঘরে ফেরান মহম্মদ সিরাজ ও বুমরাহ। টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট হিসেবে লাবুশেনকে আউট করেন সিরাজ। লাবুশেনের ক্যাচটি তালুবন্দী করেন আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার শুভমন গিল।
১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন লাবুশেন। হেড ৩৮ এবং ওয়েড করেন ৩০ রান। ভারতের হয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। অশ্বিন তুলে নেন ৩টি উইকেট। অভিষিক্ত সিরাজ পেয়েছেন ২টি উইকেট এবং ১টি উইকেট পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূণ্য রানে মায়াঙ্ক আগারওয়াল এলবিডব্লিউ হন। গিল ৩৮ বলে ২৮ রানে ও পুজারা ২৩ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন। দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১৯৫/১০ (১ম ইনিংস)
লাবুশেন ৪৮, হেড ৩৮, ওয়েড ৩০, স্মিথ ০;
বুমরাহ ৪/৫৬, অশ্বিন ৩/৩৫, সিরাজ ২/৪০, জাদেজা ১/১৫।
ভারত ৩৬/১ (১ম ইনিংস)
গিল ২৮*, পুজারা ৭*;
স্টার্ক ১/১৪।
১ম দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৫৯ রানে এগিয়ে।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

