Friday, July 18, 2025
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনেই মন্দির ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিল মৌলবাদীরা

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে ফের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র সামনে এল। এবার পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) প্রদেশের কারক জেলায় (Karak district) একটি মন্দির ভেঙে পুড়িয়ে দিল দেশটির রক্ষণশীল একদল উগ্র মৌলবাদীরা। উগ্র ইসলামপন্থী একদল উন্মত্ত জনতা ওই হিন্দু মন্দিরটি ভেঙে উল্লাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

জানা গিয়েছে, টেরি গ্রামের (Terri village) একটি হিন্দু মন্দিরে আচমকা হামলা চালায় শত শত উন্মত্ত জনতা। উল্লাস করতে করতে মন্দিরটি ভেঙে মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তারা। মন্দিরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন দেবতার মূর্তি রাস্তায় ফেলে ভেঙে দেয় তারা। গোটা ঘটনাটি স্থানীয় হিন্দুদের চোখের সামনে ঘটে। তারা প্রাণের ভয়ে কিছুই বলতে পারেননি। গোটা ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শত শত উন্মত্ত জনতা চড়াও হয়ে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। মন্দিরের দেওয়াল ও ছাদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয় ওই উন্মত্ত মানুষেরা।

ঘটনার ভিডিও-


যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ইমরান খানের প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনেই ঘটেছে। পুলিশ ও প্রশাসন শুধু নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৭৫ লাখ হিন্দু বসবাস করেন। তাঁদের বেশিরভাগই সিন্ধুপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকেন। মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ানক অত্যাচার চালায় ইসলামিক মৌলবাদীরা। ধর্মস্থান ভাঙচুর, বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, নাবালিকা ও যুবতীদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে, গুম খুনের ঘটনা ঘটছে অহরহ অহরহ। সবকিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে পাক প্রশাসন।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।