উপাচার্য নিয়োগের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠিত রাজ্য অর্ডিন্যান্স নিয়ে আপত্তি তুলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দুই তরফে। দু’জন মামলাকারী হলেন যথাক্রমে – রাজ্য বিজেপি ইন্টেলেকচুয়াল সেলের আহ্বায়ক পুলক নারায়ণ ধর এবং জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক অনুপম বেরা। আইনজীবী হলেন যথাক্রমে রুবি মুখোপাধ্যায় ও সুস্মিতা সাহা দত্ত। আজ হাইকোর্টে শুনানি ছিল। মামলাকারীদের তরফে দাবি করা হয় , রাজ্যের জারি করা ওই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের ৩ প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। ফলে রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে। এমনকী রাজ্যপালের মতামতের কোনও গুরুত্ব থাকবে না।
আরো বলা হয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে স্বজন পোষণের কোনও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটিতে বেআইনিভাবে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি রাখা হয়েছে।রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় পাল্টা সওয়ালে আদালতে বলেন, যাঁরাই কমিটির সদস্য পদে থাকুন না কেন তাঁরা ইউজিসির অনুমতির ভিতিতেই মনোনীত হন। পাশাপাশি রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনও এই সংক্রান্ত সার্চ কমিটি তৈরি হয়নি।
এদিন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী শুনানিতে জানান, ‘উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত। ফলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রের। কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।’
অবশেষে,অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত মামলায় তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, মামলাকারীর যদি কোনও বক্তব্য থাকে তবে সেটাও দু’সপ্তাহের মধ্যে জানতে হবে আদালতে। পাশাপাশি, যদি রাজ্য সরকার সার্চ কমিটি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয় তবে সেটা মামলাকারীকে জানাতে হবে। আগামী ৩১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।