Thursday, January 16, 2025
রাজ্য​

একাধিকবার ‘মুসলিম’ বলার জন্য মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবি রাজ্যের ইমাম সংগঠনের

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজের পঠন-পাঠন। ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বার দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র গার্লস হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রুমানা সুলতানা।

রেজাল্ট প্রকাশের সময় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বারবার রুমানার ধর্মের কথা উল্লেখ করেন। তিনি শুধু বারবার মুসলিম সম্প্রদায় বলেই ক্ষান্ত হননি বারবার রুমানাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেও উল্লেখ করেন। এই ধর্ম ভেদাভেদ এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের ইমাম অ্যাসেসিয়েশন তার পদত্যাগের দাবি করেছেন।

ইমাম অ্যাসেসিয়েশন মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি পরোক্ষভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। বিবৃতিতে ইমাম অ্যাসেসিয়েশনের অভিযোগ, মহুয়া দাসকে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। তাঁকে যদি এই পদ থেকে সরানো না হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটার পেছনে একজনের অনুপ্রেরণা রয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রধান মহুয়া দাস রেজাল্ট প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন বলেন, এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে একজন। কোনও র‍্যাঙ্ক বলছি না, সর্বোচ্চ নম্বর। সর্বোচ্চ নম্বর এককভাবে পেয়েছেন একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম লেডি, গার্ল। এককভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে।

একাধিকবার মুসলিম বলার সাফাইয়ে মহুয়া দাস বলেন, সংসদের ইতিহাসে এই প্রথমবার কেউ এরকম ভালো রেজাল্ট করেছে। ওর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভালো এবং সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব সংসদ সবার সাথে ভাগ করে নিতেই ওভাবে বলেছিলাম।