Monday, November 10, 2025
Latestরাজ্য​

‘CAA-এর সমস্ত আবেদন ১০ দিনের মধ্যে বিবেচনা করা হবে’, SIR আবহে হাইকোর্টে জানালো কেন্দ্র

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন CAA নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সামনে এল। উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে নাগরিকত্বের জন্য CAA অনুসারে আবেদন করা ব্যক্তিদের আবেদন আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বিবেচনা করা হবে।’

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এনজিওটির তরফে জানানো হয়, নাগরিকত্বের আবেদন করার পরও অনেকেই এখনও কোনও উত্তর পাননি, অথচ ইতিমধ্যে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে এই আবেদনকারীরা প্রশাসনিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন।

দেশজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার নাগরিকত্বের আবেদন জমা পড়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেই ১০ দিনের মধ্যে বিবেচনার নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে দেশের অন্য রাজ্যে চলমান অনুরূপ মামলাগুলির আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য নয়।

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও সরাসরি ভূমিকা নেই, কারণ কমিশনই (নির্বাচন কমিশন) প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যের দায়িত্ব ছিল ৯০ দিনের মধ্যে সমস্ত আবেদন পাঠানো, যা করা হয়নি। কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী এএসজি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য এখনও কোনও আবেদনপত্র আমাদের কাছে পাঠায়নি।”

মামলাকারীর আইনজীবী মৈনাক বসু জানান, এটি একটি জনস্বার্থ মামলা। তিনি বলেন, “দেশ জুড়ে হাজার হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কেন্দ্র যেন এই আবেদনগুলি বিবেচনা করে অনুমোদন বা বাতিল – যেকোনও সিদ্ধান্ত নেয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসআইআরের এনুমারেশন ফর্মে নাগরিকত্ব প্রাপ্ত বা আবেদনকারী ব্যক্তিদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট অপশন রাখা হয়নি।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—যারা সিএএ অনুসারে নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন, তাঁদের জন্য কি এসআইআর প্রক্রিয়ায় আলাদা কোনও ফর্ম দেওয়া হবে? নাকি বিদ্যমান ফর্মের সঙ্গেই অতিরিক্ত নথি সংযুক্ত করে জমা করতে হবে?

এই বিষয়ে এখন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আবেদনকারীরা।