রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল হতে চলেছে
কলকাতা: বিজেপির বড় টার্গেট ছিল একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা বিজয়। সেই লক্ষ্যে প্রাণপণে ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী করোনা আবহেও বাংলায় ১৭টি জনসভায় যোগ দেন। বিজেপির অন্যতম মুখ যোগী আদিত্যনাথও রাজ্যে এসেছিলেন বারবার। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ কেন্দ্রীয় স্তরের বিভিন্ন নেতা বাংলায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন। কিন্তু পদ্ম শিবিরের বাংলা বিজয়ের সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটে হারার পর রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল হতে চলেছে। বিজেপি সূত্রে ইঙ্গিত, বদলানো হতে পারে বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতিকে। আগামী ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছে গেরুয়া শিবির। সেই বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তারপর সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লির দলের সদর দফতরে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতারা রুদ্ধদ্বার পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে হারের পর এক মাসের বেশি দিন হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও হার নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরকে।
অনেকেই একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারকে বিপর্যয় বলে মনে করছেন। তবে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এটা বিপর্যয় নয়। কারণ ২০১৬ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসন ছিল ৩টি। সেখান থেকে এবার ৭০ টা আসন বিজেপির দখলে। পাশাপাশি, তৃণমূল-ত্যাগী প্রায় দেড়শ নেতাকে প্রার্থী করা নিয়েও সমালোচনা চলছে। দাবি উঠছে, তৃণমূল-ত্যাগীদের প্রার্থী করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বঙ্গবাসী। এসবেরই চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠক। তারপরেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল করা হবে বলে খবর।