Monday, December 15, 2025
দেশ

১ মে ভারতে আসছে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি

মস্কো: করোনার সেকেন্ড ওয়েভে শোচনীয় অবস্থা ভারতের। লাগামহীন সংক্রমণের জেরে হাসপাতালগুলোতে বেডের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, অক্সিজেনের ঘাটতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মৃত্যুর মিছিলে লাগাম টানতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভরসা এখন গণ টিকাকরণ। আমেরিকা ইতোমধ্যেই তৈরির কাঁচামাল পাঠাবে বলে জানিয়েছে। এদিকে, আগামী ১ মে ভারতে আসছে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি।

রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ১ মে প্রথম ব্যাচের টিকা ভারতে পৌঁছবে। যদিও প্রথম দফায় কি পরিমাণ ভ্যাকসিন ভারতে আসবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, এটি গামায়েল ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং আরডিআইএফ যৌথভাবে তৈরি করেছে। ভারতে এটির বিপণনের দায়িত্বে রয়েছে ডক্টর রেড্ডির সংস্থা। স্পুটনিক ভি দুই ডোজে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।

স্পুটনিক ভি-এর কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বলেই জানানো হয়েছে। স্পুটনিক ভি করোনার বিরুদ্ধে ৯১.৬ শতাংশ কার্যকারী বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্না তৈরি করা টিকার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। অন্যদিকে, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৮১ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারে এক ডোজ স্পুটনিক ভি টিকার দাম ১০ ডলারেরও কম। তবে ভারত কত পড়বে সেটা জানা যায়নি। প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে দর কষাকষি চলছে বলে খবর। তবে এদেশে ওই টিকার উৎপাদনকারী সংস্থা হায়দরাবাদের সংস্থা ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ভারতের বাজারে প্রায় সাড়ে ৭০০ টাকায় পাওয়া যাবে স্পুটনিক ভি।

২০২০ সালে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পায় স্পুটনিক ভি। এটি বিশ্বে বাজারজাত করছে ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’। ইতিমধ্যে ভারতের পাঁচটি শীর্ষ টিকা প্রস্তুতকারী সংগঠর সঙ্গে চুক্তি করেছে রুশ সংস্থাটি। চুক্তি মতে প্রতিবছর ৮৫ কোটি ডোজ টিকা তৈরি হবে। ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষের কাছে স্পুটনিক ভি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ান সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড দাবি করেছে, ভারত-সহ বিশ্বের মোট ৬০টি দেশ স্পুটনিক ভি ব্যবহার করছে। যাদের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।