এক বছর পূর্ণ হল গালওয়ান সংঘর্ষের, খতম করা হয়েছিল ৪৩ চিনা সেনাকে
নয়াদিল্লি: ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) ভারত-চিন সংঘর্ষ বেধেছিল। সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনের ঠিক কতজন সৈনিক মারা যায় সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি বেইজিং। তবে অন্তত চিনের ৪৩ সেনা মারা যায় বলে খবর।
জানা যায়, গালওয়ান উপত্যকায় সেদিন রাতে ৬ ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে ভারত-চিনা সেনার মধ্যে। কর্নেল সন্তোষ বাবু দু’দিন আগে ভারতীয় এলাকায় একটি চিনা তাঁবু ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এরপরেই ভারতের উপর আক্রমণ চালায় চিনের সেনারা। পালটা জবাব দেয় ভারতও। শুরু হয় লড়াই। কয়েকশো চিনা সেনা আচমকা অপ্রস্তুত ভারতীয় সেনার উপর পাথর, লাঠি, লোহার রড এবং অন্যান্য অস্থায়ী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়। সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তাঁদের মধ্য়ে ছিলেন ১৬ বিহার রেজিমেন্টের প্রধান কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। সংঘর্ষে ৪৩ জন চিনা সেনা মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। যদিও চিনের বক্তব্য, ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষে তাদের ৪ জন সৈনিক নিহত হয়েছিল।
ভারতের অভিযোগ, চিন একতরফাভাবে নিয়ন্ত্রণরেখার স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে চলেছে। এর ফলেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। চিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই সংঘর্ষ চালিয়েছিল বলেও জানায় ভারত।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে চিনাদ্রব্য বয়কটের ডাক ওঠে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চিনের প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল দাহ করা হয়। চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় দেশবাসী। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক চিনা কোম্পানির টেন্ডার বাতিল করা হয়। ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ পাবজি, টিকটক-সহ ২৫০ এর অ্যাপস।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, চিন এখনও সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ নির্মাণ কাজ, আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে থেমে নেই ভারতীয় সেনাও। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতও। নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের অবস্থানকে সতর্ক নজর রাখছে ভারতীয় সেনা।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

