দেশের বৃদ্ধির হারের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, কমেছে উন্নয়নে লগ্নি, বেড়েছে অনুদানের উপরে নির্ভরশীলতা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট সামনে এল। তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মাথা-পিছু জিএসডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হারে মন্থর গতি দেখা যাচ্ছে। দেশের বৃদ্ধির হারের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। কমছে পশ্চিমবঙ্গে রনিজস্ব রাজস্ব আয় এবং পরিকাঠামো-সহ মূলধনী খাতে ব্যয়ও। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থনীতিবিদ শমিকা রবি।
১৯৯০ থেকে ২০২০—৩০ বছরে দেলের রাজ্যগুলির বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। ‘স্টেট বাজেটস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্র তৈরি করেছেন শমিকা রবি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুদিত কপূর।
তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং পাঞ্জাব নিয়ে আমরা চিন্তিত।’’পরিষদের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মাথা-পিছু জিডিপি-র বৃদ্ধির হার ১৯৯০ থেকে ২০২০-র মধ্যে প্রথম দশকে ৪.৫ শতাংশ ছিল। শেষ দশ বছরে তা ৪.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। যে সব রাজ্যের মাথা-পিছু রাজস্ব আয় জাতীয় গড়ের থেকে কম, তার মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। নিজের রাজস্ব আয় মোট আয়ের ৪০ শতাংশের কম বলেই পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের কেন্দ্রের করের ভাগ ও অনুদানের উপরে নির্ভরশীলতা বেশি।
পশ্চিমবঙ্গের মাথা-পিছু সরকারি ব্যয়ও জাতীয় গড়ের থেকে কম। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে এই অঙ্ক অনেকটাই কম। এই ৩০ বছরে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের ভাগও কমেছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নয়নে ব্যয়ের তুলনায় ঋণ শোধ করতে ও সুদ মেটাতে বেশি খরচ হচ্ছে। উন্নয়ন খাতে ব্যয় ও উন্নয়ন ছাড়া অন্যান্য খাতে ব্যয়ের অনুপাত কমার মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গের হাল সব থেকে খারাপ। পেনশনের মতো খাতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। – আনন্দবাজার অনলাইন
