Friday, December 19, 2025
টালিউড

আমার স্ত্রী’ই পরকীয়ায় জড়িত, একা ঘরে হাউমাউ করে কাঁদছি: কাঞ্চন মল্লিক

কলকাতা: নুসরত-নিখিল, শ্রাবন্তী-রোশন পর এবার কাঞ্চন মল্লিকের খবর নিয়ে তোলপাড় টলিপাড়া। গত কয়েক মাস ধরে টলিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল কাঞ্চন মল্লিক নাকি প্রেম করছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। এই অভিযোগ তুলে গত শনিবার কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়। হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেছেন থানায়।

পাশাপাশি, দাম্পত্য কলহ নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেতা কাঞ্চন। কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কাঞ্চন বলেন, নিজের পরকীয়ার কথা ধামাচাপা দিতেই শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে জড়াচ্ছে আমাকে। অথচ শ্রীময়ীর সাথে আমার পরকীয়ার কোনো সম্পর্কই নেই! ওকে প্রশ্ন কেউ করেছেন? জানতে চেয়েছেন, পিঙ্কির প্রশাসনিক মহলে কতজন বন্ধু রয়েছে? কেউ জিজ্ঞেস করবেন না। কারণ, কোনো নারী এই ধরনের অভিযোগ তুললে সমাজ তার পক্ষে। তবে পুরুষদেরও যে কান্না পায়, সেটা কে বুঝবে? তার উপর সে যদি হয় ‘লোক হাসানো’ কাঞ্চন মল্লিক! লোক হাসাতে হাসাতে আজ একা ঘরে হাউহাউ করে কাঁদছি। কেউ দেখার নেই!

কাঞ্চন বলেন, রাতারাতি কলঙ্কিত নায়ক হয়ে গিয়েছি আমি। রাস্তায় বেরোতে পারছি না। লোকের সঙ্গে মাথা তুলে কথা বলতে পারছি না। সবার বিস্মিত দৃষ্টি যেনো তীরের মতো বিঁধছে। মাথা নিচুঁ হয়ে গেছে নিজের দলের কাছে। কি উত্তর দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তারা আমায় ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছেন। দলের কাছে, নেত্রীর কাছে এভাবে ছোট করার মানে কি?

কাঞ্চন মল্লিক বলেন, বিধায়ক পদে জেতার পর একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসেছে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে তাকে। চাকরিও পাইয়ে দিতে হবে ছেলের ভাইরা ভাইকে! এতো দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা। আমার সঙ্গে যখন জি বাংলায় শো করতে গেলো তখনও ক্যামেরার সামনে কি নিখুঁত সুখী দম্পতির অভিনয় করলো!

অভিনেতা জানান, প্রতি সপ্তাহে আমি ছেলের পছন্দমত রান্না নিজে রেঁধে নিয়ে গিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। সবার জন্মদিন পালন করেছি। উল্টে মিথ্যে বদনাম দিয়ে আমায় মদ্যপ বলেছে পিঙ্কি। কেউ জানেন না, ওর পরিবারের সবাই প্রতিটি উদযাপনে মদ ছাড়া চলতে পারেন না। তারও জোগান দিয়েছি আমি। গত লকডাউনে ২ লাখ টাকা আর রেশন পাঠিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। ব্যাংকের তথ্য তার প্রমাণ। কখনো পিঙ্কি ভুলেও বলেনি, আমি আসছি তোমার কাছে। ক’দিন থাকবো এক সঙ্গে।

কাঞ্চন জানান, আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত। আমার কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব। প্রচুর কাজ করতে হবে। এই মিথ্যে অপবাদ থেকে রক্তমাংসের কাঞ্চন মল্লিক মুক্তি চাইছে। পিঙ্কি তুমি নিশ্চিন্তে থাক, ছেলের সব দায়িত্ব আমার। এবার আমায় মুক্তি দাও।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।