কালিয়াগঞ্জ কান্ডে উত্তাল রাজ্য, CBI তদন্তের দাবি, জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিল আদালত
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তর দিনাজুপরের কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে খুনের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।
জানা গেছে, কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা ও এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে মামলার আবেদন করেন ওই আইনজীবী। আদালত মামলা গ্রহণ করেছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এলাকায় একটি পুকুরে ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর লাশ ভাসতে দেখা যায়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, খুনের আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টিউশন ক্লাসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ওই ছাত্রী।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত জাভেদ আখতার সহ দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার লাশ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। বিচার ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করে। এটিকে গণধর্ষণের ঘটনা বলে অভিযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্থানীয়দের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। উত্তেজনা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জেলার এসপি সানা আখতারের মতে, মৃতের স্বজনদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার সম্পর্কে, তিনি বলেন, নির্যাতিতার দেহ পাওয়ার জন্য এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোস্টমর্টেম করার জন্য এটি করা প্রয়োজন ছিল।
ঘটনার পরে, রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিজেপি বিধায়কদের শিকারের পরিবারের সাথে দেখা করতে দেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উদাসীনতা এবং উচ্ছৃঙ্খলতার দিকে ইঙ্গিত করে, বিজেপি নেতা একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে উদাসীনভাবে নির্যাতিতার দেহ টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু টুইটে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য দুঃখিত কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ‘ভাইপোর নবজোয়ার’-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। দুর্ভাগ্যবশত সাধারণ মানুষ; বিশেষ করে মহিলারা যার মূল্য চোকাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে।”
তথ্যসূত্র: Op India
