পশ্চিমবঙ্গে ২০২৪ সালে ১৬৯৪ জন, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৭২৩ জন অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা নিয়ে ফের সরব হয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, গত আড়াই বছরে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে ধরা পড়েছেন।
অনুপ্রবেশের পরিসংখ্যান
২০২৩ সালে ধরা পড়েন ১৫৪৭ জন অনুপ্রবেশকারী
২০২৪ সালে সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬৯৪ জন
চলতি বছর (২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত) ধরা পড়েছেন ৭২৩ জন
তথ্য অনুযায়ী, এ বছর অনুপ্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে আগের দুই বছরের তুলনায়। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিলে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বেড়ে যায়।
সীমান্তে বেড়ার ঘাটতি
শাহের মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মোট ২২১৬.৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে বেড়া রয়েছে ১৬৪৭.৬৯ কিলোমিটার অংশে। কিন্তু এখনও ৫৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত খোলা রয়েছে।
এই ৫৬৯ কিলোমিটারের মধ্যে— ১১২.৭৮ কিমি এলাকায় বেড়া বসানো সম্ভব নয় ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক কারণে।
৪৫৬.২২ কিমি এলাকায় বেড়া বসানো সম্ভব, তবে কাজ বাকি।
এর মধ্যে ৭৭.৯৩ কিমি-তে কাজ চলছে।
২২৯.৩১ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
১৪৮.৯৭১ কিমি এলাকায় জমি অধিগ্রহণ এখনও শুরু হয়নি।
বিজেপি সাংসদদের প্রশ্ন ও উদ্বেগ
বিজেপি সাংসদ শম্ভুশরণ পটেল ও নীরজ শেখর লিখিত প্রশ্নে জানতে চেয়েছিলেন, সীমান্তে বেড়ার অভাব কি অনুপ্রবেশের মূল কারণ? যদিও মন্ত্রকের জবাবে সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি, তবে তথ্য থেকে পরিষ্কার যে সীমান্তের খোলা এলাকাগুলি অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
রাজনৈতিক তাৎপর্য
বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। একদিকে কেন্দ্র অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারির দাবি করছে, অন্যদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় মানুষের আপত্তির কারণে বেড়া নির্মাণের কাজ আটকে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখনও প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা কাঁটাতারবিহীন, যা অনুপ্রবেশের বড় কারণ হিসেবে উঠে আসছে।


