Saturday, May 24, 2025
দেশ

যোগী রাজে ৬ বছরে ১৩ দিনে গড়ে একটি করে এনকাউন্টার! মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি উত্তরপ্রদেশ সরকারের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরফ। আতিকের ছেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাঁসির বাবিনা রোডে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আসাদের সঙ্গী গুলামও। তবে এটাই প্রথম নয়, একের পর এক এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।

লখনউয়ের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ‘মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত ১৮৩ জন অপরাধী নিহত হয়েছে।’

যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আমলে গত ৬ বছরে উত্তরপ্রদেশে ১০,৭১৩ এনকাউন্টার হয়েছে। এতে ১৮৩ জন অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪,৯১১ জন। অর্থাৎ, গত ৬ বছরে যোগীরাজে উত্তরপ্রদেশে গড়ে ১৩ দিনে অন্তত এক জন করে অভিযুক্ত এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এনকাউন্টারে নিহতরা সকলেই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন।

উত্তরপ্রদেশে আলোচিত বেশ কয়েকটি এনকাউন্টার:

১. বিকাশ দুবে: ২০২০ সালের ১০ জুলাই কানপুরে এনকাউন্টারে নিহত হন গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে৷ পুলিশের দাবি, বিকাশকে উজ্জয়িনী থেকে কানপুরে নিয়ে যাওয়ার সথে পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। এই সুযোগে বিকাশ পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বিকাশের।

২. টিঙ্কু কাপালা: ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন গ্যাংস্টার টিঙ্কু কাপালা। টিঙ্কুর মাথার দাম ১ লাখ টাকা ঘোষণা করেছিল পুলিশ। বারাবাঁকিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযানে নিহত হয় টিঙ্কু।

৩. হামজার: ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর লখনউয়ের গোমতীনগরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি গ্যাংস্টার হামজার।

৪. মতি সিংহ: কুখ্যাত এই অপরাধীকে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার ডেরায় পৌঁছে খতম করে পুলিশ।

৫. বিনোদকুমার সিংহ: ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিনোদকুমার সিংহ। তার মাথার মূল্য ১ লাখ ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

৬. মণীশ সিংহ ওরফে সোনু: ২০২২ সালের ২১ মার্চ বারাণসীতে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় মণীশের। তার মাথায় মূল্য ধার্য করা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে মোট ৩২টি মামলা ছিল।

৭. আসাদ এবং গুলাম: উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন আসাদ এবং গুলাম। তাদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাঁসির বাবিনা রোডে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তারা।