Monday, December 15, 2025
Latestরাজ্য​

লোকভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বারের নামকরণ করা হলো ‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বার’: রাজ্যপাল

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক ও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই আবহেই বঙ্কিম আবেগকে সম্মান জানাতে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সিদ্ধান্ত নিল লোকভবন। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লোকভবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বারের নামকরণ করা হলো ‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বার’।

সম্প্রতি সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধনকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তৃণমূল-সহ বিভিন্ন মহল থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মহল।

লোকভবনের তরফে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস লোকভনে ‘বন্দে মাতরম’ স্মরণে ‘নিত্যশিখা’র সূচনা করবেন। একইসঙ্গে লোকভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বারের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হলো ‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বার’।

এখানেই শেষ নয়। বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যিক অবদানকে সম্মান জানাতে লোকভবনে গবেষণা, উচ্চশিক্ষা, সেমিনার, কর্মশালা এবং সাহিত্য প্রকাশের জন্য পৃথক উদ্যোগ নেওয়ার কথাও আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চাকে আরও উৎসাহিত করতে চালু হতে চলেছে ‘বন্দে মাতরম’ পুরস্কার।

পাশাপাশি, বছরভর ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ড. এস কে পট্টনায়েক। সব মিলিয়ে, বিতর্কের আবহে রাজভবনের এই উদ্যোগ বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যিক উত্তরাধিকারকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলার সাংস্কৃতিক পরিসরে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।