Monday, November 17, 2025
দেশ

এখনই ভোট হলে জিতবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: সামনে এল এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের সমীক্ষার ফলাফল। আর মাত্র কয়েকমাস বাকি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। তার আগে এই সমীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কেননা নির্বাচনে কোন দল জিতবে, কোন দল হারবে, তা‌ জানার জন্য ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তার আগে সমীক্ষায় ভোটের ফল কোনদিকে যাবে সেই ব্যাপারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়। সামগ্রিক ভাবে কে এগিয়ে, বিজেপি নাকি তৃণমূল, কে বেশি জনপ্রিয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? এইসব প্রশ্ন নিয়ি সম্প্রতি সমীক্ষা করে এবিপি নিউজ ও সি ভোটার। দেশের ৩০,০০০ ভোটার এই সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে।

সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হয়, এখনই যদি লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কোন দল জিতবে ? এই প্রশ্নের জবাবে ৫৮ শতাংশ মানুষ বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোটকেই সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ২৮ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন UPA জোটকে সমর্থন করেছেন।

সমীক্ষায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও বিকল্প আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। এই প্রশ্নের উত্তরে ৫০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর কোনও বিকল্প নেই। অন্যদিকে, ৩৫ শতাংশ মানুষ তেমনটা মনে করেন না। তাদের বক্তব্য, অবশ্যই মোদীর বিকল্প মুখ আছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে কোন বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টক্কর দিতে পারেন এই প্রশ্নও রাখা হয়। এর জবাবে ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে কেউ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টক্কর দিতে পারবেন না। সমীক্ষায় রাহুল গান্ধী ভোট পেয়েছেন ২৬ শতাংশ ভোট, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট পেয়েছেন ২২ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেয়েছেন ৮ শতাংশ ভোট।

সমীক্ষায় আরও জানতে চাওয়া হয়, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে আপনি কি খুশি হয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে মোদী সরকারকে সমর্থন ককরেছেন ৫১ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, ৩২ শতাংশ মানুষ কেন্দের ভূমিকায় খুশি নন।  কৃষক আন্দোলন নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয়। বলা হয়, নয়া কৃষি আইন কি কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে? ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন এই আইন পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট খেয়েছে। তবে ৩৪ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা মনে করছে, এতে করে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি আগের মতোই দৃঢ় রয়েছে।