Friday, July 18, 2025
খেলা

কাশ্মীরে পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস, ভারত বিরোধী স্লোগান, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) মঞ্চে রবিবার প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। রীতিমতো ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। পাকিস্তানের এই জয়ে শ্রীনগরে গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ছাত্র-ছাত্রীরা হোস্টেলে উল্লাসে মেতে ওঠেন। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সোমবার কাশ্মীর পুলিশ ওই দুটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওয়ার্ডেন, কলেজ ম্যানেজমেন্ট এবং পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে UAPA এবং IPC ধারায় মামলা দায়ের করেছে শ্রীনগর পুলিশ। ওই দুই মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে পাকিস্তানের জয় উল্লাসের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

শ্রীনগর পুলিশ এফআইআরে কারও নাম উল্লেখ করেনি। ভিডিওগুলির ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভিডিওগুলো আসল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রবিবার পাকিস্তানি দল ম্যাচ জেতার পরপরই ভিডিওগুলি টুইটারে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে। নেটিজেনরা এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকরা ঐ সমস্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, হোস্টেলের ছাত্র এবং কর্মীরা পটকা ফাটিয়ে, নাচছিল। ভারত বিরোধী স্লোগানও দিতে শোনা যায় তাদেরকে। জানা গেছে, UAPA-এর ১৩ নম্বর ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে, যেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, UAPA-এর ১৩ নম্বর ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের ৩ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।

UAPA-এর অর্থ হল অনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট। এই ধারায় সহজে জামিন মেলে না। মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে এই ধারায় মামলা হয়। সন্ত্রাসী, অপরাধী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয় এই ধারায়।

শ্রীনগর পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ভিডিও দেখা গেছে পড়ুয়ারা নাচছে, পটকা ফাটাচ্ছে, পাকিস্তানের বিজয় উদযাপন করছে, ভারত বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। যা অনুভূতিতে আঘাত করছে। আমরা দুটি মামলা দায়ের করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে এবং যথাসময়ে নাম প্রকাশ করা হবে।

জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় মুখপাত্র নাসির খুয়েহামি বলেছেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করায় তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হতে পারে।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।