‘দ্য হিমখণ্ড’: দূষণ ইস্যুকে হাতিয়ার করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় বামপন্থী সংগঠন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে অশান্তি তৈরির ছক? রবিবার (২৩ নভেম্বর) দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে দূষণ বিরোধী বিক্ষোভের নামে রাজপথ কার্যত অবরুদ্ধ করা হয়। অভিযোগ, ওই বিক্ষোভের আড়ালে মৃত মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিডমাকে সম্মানে স্লোগান তোলা হয়। এছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে লঙ্কার গুঁড়ো স্প্রে করার অভিযোগ।
এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল দুটি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন — ভগত সিং ছাত্র ঐক্য মঞ্চ (bsCEM) এবং ‘দ্য হিমখণ্ড’। অভিযোগ, এই সংগঠনগুলি ‘দূষণ’ ও ‘পরিবেশ আন্দোলন’ ইস্যুকে অস্ত্র করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের পাশাপাশি মাওবাদী সন্ত্রাসের মতাদর্শকে ছড়িয়ে দিতে চাইছে।
Protest is on Delhi Pollution
Slogans- “Comrade Hidma Amar Rahe”
The real protest is against Killing of Naxalite Hidma who has killed hundreds of our Jawans.
These “Laal Salam” Communists celebrated when Hidma led attack on on 75 CRPF Jawans in 2010.
These JNU Leftists are… pic.twitter.com/SO6lWWtbH0
— Ankur Singh (@iAnkurSingh) November 23, 2025
কী এই ‘দ্য হিমখণ্ড’?
‘দ্য হিমখণ্ড’ নামের সংগঠনটি ২০২৪ সালের মে মাস থেকে সক্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাদের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে—‘thehimkhand’ এবং ‘the.himkhand’। তারা আঞ্চলিক রাজনীতি ও কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বামপন্থী চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এমন সব প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।
লাদাখে অশান্তি উসকে দেওয়ার অভিযোগ
লাদাখ প্রশাসন সোনম ওয়াংচুকের নেতৃত্বাধীন হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-এর জমি বরাদ্দ বাতিল করার পর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ই ‘দ্য হিমখণ্ড’ লাদাখকে আলাদা রাজ্যের দাবিকে উসকে দিয়ে, সেখানে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।
View this post on Instagram
লাদাখে সহিংস আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কেও তারা পোস্ট করে। ৫ অক্টোবরের এক পোস্টে তারা লেখে, “বিজেপি অফিসে আগুন দেওয়া বিক্ষোভকারীদের হিমালয়-বিরোধী উন্নয়ন মডেলের প্রতীকী প্রত্যাখ্যান। লাদাখের জনগণ তাদের রায় প্রদান করেছে।”
আরবান নকশাল কার্যকলাপের অভিযোগ
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু ইস্যুকে জনপ্রিয়তা ও সহজ সমর্থন পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু শহুরে বামপন্থী সংগঠনগুলো। অভিযোগ, পরিবেশকেন্দ্রিক উদ্বেগকে আড়াল করে মাওবাদী সহিংসতাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ শান্তির ওপর নতুন ধরনের হুমকি তৈরি হচ্ছে।
২৩ নভেম্বরের ঘটনায় ‘দ্য হিমখণ্ড’–এর ভূমিকাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তদন্তে উঠে আসছে, এই সংগঠনটি পরিবেশ আন্দোলনের নামে যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবনা প্রচারে সক্রিয়।
শীর্ষ মাওবাদী নেতা মাদভি হিডমা
অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন দেশের শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিডমা (৪৩)। সীমান্তবর্তী জঙ্গলে অভিযানে তাকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। হিডমা ২০১০ সালের দান্তেওয়াড়া হামলা, ২০১৩ সালের ঝিরাম উপত্যকা গণহত্যা, ২০২১ সালের সুকমা–বিজাপুর সংঘর্ষ-সহ মোট ২৬টি বড় হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। তথ্যসূত্র: ওপি ইন্ডিয়া


