Tuesday, November 11, 2025
Latestরাজ্য​

‘২০০২ সালের পর আসলে CAA তে অ্যাপ্লাই করুন, গ্যারেন্টার মোদী’, আশ্বাস শুভেন্দুর

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাসের বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে ঘিরে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে বিজেপির প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি হিন্দুদের নাম থাকবে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত যাদের ভারতে জন্ম, তাঁরা সুরক্ষিত। ২০০৮ পর্যন্ত যাদের বাবা-মায়ের জন্ম এখানে, তাঁরাও সুরক্ষিত। কিন্তু ২০০২ সালের পর যারা এসেছেন, তাঁরা সিএএ (CAA) তে আবেদন করুন। বড় গ্যারান্টার নরেন্দ্র মোদী, ছোট গ্যারান্টার শুভেন্দু-সুকান্ত-শমীক।”

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল CAA নিয়ে হিন্দু ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। অভিযোগ করেন, হিন্দুদের সিএএ-এর অধীনে আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তৃণমূল।

শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই সিএএতে আবেদন করেছেন। তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করছে এবং হিন্দু ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। তৃণমূল এটা করছে যাতে হিন্দুরা CAA-এর জন্য আবেদন না করে এবং তাদের নাম ভোটার তালিকায় না আসে।

শুভেন্দু উদ্বাস্তু হিন্দুদের সতর্ক করে বলেন, “ওদের ফাঁদে পা দেবেন না; ওরা হিন্দুদের ক্ষতি করার জন্য সব ভুল কথা বলছে। এখন পর্যন্ত ৫০০০০-এরও বেশি হিন্দু সিএএ-র জন্য আবেদন করেছেন। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।”

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সম্প্রতি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনকি আত্মহত্যা ও মানসিক অবসাদের ঘটনাও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যকে অনেকেই ‘বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তুদের ভরসার সুর’ হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেসমস্ত অমুসলিম বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁরা নিরাপদে ভারতে থাকতে পারবেন। তাঁদের অন্যত্র পাঠানো হবে না বলে ভারত সরকার জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘CAA-তে আবেদন করুন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব, যেসমস্ত উদ্বাস্তু হিন্দুদের নাম ২০০২ সালের লিস্টে নেই, তাদের নাম যাতে না কাটা হয়।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যে হিন্দু উদ্বাস্তুদের মধ্যে যে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা।