মোদীকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান ৬৬ শতাংশ ভারতীয়
নয়াদিল্লি: এই মুহূর্তে গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত তেমন কোন মুখ নেই। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি ভরাডুবি হলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকেই চাইছে অধিকাংশ ভারতীয়। এমনটাই দেখা গেল সমীক্ষায়। আমেরিকার সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চলতি বছরে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা সূচক ৬৬ শতাংশ।
‘মর্নিং কনসাল্ট’ জানিয়েছে, ২১১৬ জন ভারতীয়র উপরের সমীক্ষা চালায় তারা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় ভোটার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের মোদীকেই চান। তবে গত দু’বছরে মোদী গ্রহণযোগ্যতা সূচক অনেকটাই কমেছে। ২১০৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে মোদীর গ্রহণযোগ্যতা সূচক ৮২ শতাংশে পৌঁছেছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২০ সাল আঘাত হানা করোনার প্রথম ধাক্কা মোটামুটি ভালোভাবে সামলাতে পেরেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বের ৭৪টিরও বেশি দেশে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেকেন্ড ওয়েভে হাসপাতালে বেড, অক্সিজেনের ঘাটতি, টিকার অপ্রতুলতা মোদী সরকারের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রহণযোগ্যতা সূচক কমলেও বিশ্বের ১৩টি দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে মোদী। আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানির মতো মতো তাবড় তাবড় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সমীক্ষায় মোদীর পরে রয়েছেন যথাক্রমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি (৬৫ শতাংশ), মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর (৬৩ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (৫৪ শতাংশ), জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল (৫৩ শতাংশ), আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন (৫৩ শতাংশ), কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (৪৮ শতাংশ), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (৪৪ শতাংশ)।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

