রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্র ফেরাতে বিক্ষোভ পড়শি দেশ নেপালে, জারি কার্ফু, গ্রেপ্তার ১০০ জন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ‘রাজা আও দেশ বাঁচাও’ এই স্লোগানে উত্তাল নেপাল।রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে পথে নেমেছে হাজারও নেপালবাসী। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ দেশের নানা অংশে বিক্ষোভ অশান্তি ছড়িয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল কাঠমান্ডুতে কার্ফু জারি করা হলেও আজ সকালে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০০৮ সালে পার্লামেন্টে সংশোধনী এনে ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান হয়েছিল। হিন্দু রাষ্ট্রের পরিবর্তে নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষিত হয়। এত বছর পর ফের রাজতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে মাতলো ভারতের পড়শি এই দেশ। গত ৯ই মার্চ দেশে ফেরেন নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ। সেখানে রাজার সমর্থনে বিক্ষোভ দেখান প্রচুর মানুষ। তাঁদের মুখে ছিল ‘রাজা আনো, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান। ১৯ ফেব্রুয়ারী একটি ভিডিও বার্তায় এই দাবিকে সমর্থন করেন রাজা জ্ঞানেন্দ্র। সেখান থেকেই সূত্রপাত ঘটে এই অশান্তির।
শুক্রবার রাজতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন চেয়ে পথে নেমেছেন হাজার হাজার নেপালবাসী। আগুন জ্বালানো হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের অফিস, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে ও পোড়ানো হয়েছে বাড়িঘরও। পুলিশের উপর ছোড়া হয়েছে পাথর, ভাঙা হয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চলেছে পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। এর জেরে কার্ফু জারি করা হয়েছে টিঙ্কুন, সিনামঙ্গল ও কোটেশ্বরের মতো এলাকায়।
রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরপিপি) এবং অন্যান্য দলগুলো এই বিক্ষোভে যোগ দেয়। হাজার হাজার রাজতন্ত্রপন্থী কর্মী, নেপালের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি নিয়ে টিঙ্কুনে এলাকায় জড়ো হন। তাঁরা স্লোগান দেন “রাজা আও, দেশ বাঁচাও”, “দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার নিপাত যাক”, এবং “আমরা রাজতন্ত্র ফিরে চাই”।
বর্ষা দাস গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পিজি ডিপ্লোমা করেছেন। অবসর সময়ে ঘুরতে, লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।