Saturday, April 20, 2024
দেশ

পাকিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু শরণার্থীদের জন্য ৪০ বিঘা জমি বরাদ্দ করা হলো

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দিনকয়েক আগে একটি ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রাজস্থানের অমরসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়সলমেরে (Jaisalmer) গ্রামে পাকিস্তান থেকে উচ্ছেদের শিকার হওয়া হিন্দুরা বসবাস করতেন। সরকারি দপ্তরের জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণের অভিযোগে ওই হিন্দু শরণার্থীদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। বুলডোজার দিয়ে ৫০টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বাড়ি ছাড়া হয়ে পড়েন নারী, শিশু-সহ ১৫০ জন। এবার তাঁদের জন্য ৪০ বিঘা জমির বন্দবস্ত করা হলো।

পাকিস্তান প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হলো। জেলা প্রশাসন হিন্দু শরণার্থীদের জন্য জমি চিহ্নিত করেছে। বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ বিঘা জমি। ধাপে ধাপে জমি দেওয়া হবে। জয়সলমেরের কালেক্টর টিনা দাবি (Tina Dabi) বলেছেন, পাকিস্তানের হিন্দু শরণার্থীদের ৪০ বিঘা জমি দেওয়া হবে।

বুলডোজার দিয়ে পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করছিলেন তাঁরা। চাপের মুখে জয়সলমের জেলা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মুলসাগরের কাছে তাঁদের এই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গত ১৫ মে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এইসমস্ত হিন্দু শরণার্থীদের বাড়িঘর। বুধবার কালেক্টর টিনা দাবি বলেন, পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের জন্য এই ৪০ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যারা ভারতীয় নাগিরকত্ব পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে এই জমি বন্টন করা হবে। যারা অমরসাগরে সরকারি জমিতে বসবাস করছিলেন তাঁদের এই ৪০ বিঘা জমি দেওয়া হচ্ছে।

কালেক্টর টিনা দাবি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন সমস্ত নাম খতিয়ে দেখবে। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হবে। কারা দীর্ঘ মেয়াদের ভিসা নিয়ে বসবাস করছেন তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁদের মধ্যে কতজন নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাঁদের আগে জমি দেওয়া হবে। বাকিদের পরপর দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘জমি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত হিন্দু শরণার্থীদের জন্য সরকারি পরিচালিত আশ্রয় শিবির রেবসেরায় রাখা হবে। যতক্ষণ না পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে তারা সেখানে থাকবে। আশ্রয় শিবিরে পর্যাপ্ত জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে।’ India Today