রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে জাল আধার কার্ড খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রের, রাজ্যকে চিঠি, বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট?
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় জাল আধার কার্ড খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাদের আধার নেই তাদেরকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। কেন্দ্রের তরফে এই মর্মে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রের এই চিঠি প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আবার ওরা আগুন নিয়ে খেলছে। লোকসভা ভোটের আগে সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC) তাস নিয়ে খেলছে। ২০১৪ সাল থেকে এই খেলা চলছে।’
মমতা বলেন, ‘ঘুরিয়ে সিএএ ও এনআরসি লাগু করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। আমাদের কাছে চিঠি এসেছে, নির্দিষ্ট ওই অঞ্চলে গিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের লোক মিলে যৌথ ভাবে খোঁজ করে দেখি, যদি একটা বাচ্চারও আধার কার্ড না থাকে, সব বিদেশি। তার মানে বুঝতে পারছেন তো? সেই অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বারাসত সাবডিভিশন গোবরডাঙা, হাবরা, দত্তপুকুর, বারাসত, বসিরহাট সাবডিভিশনে স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, ন্যাজাট, হেমনগর, সন্দেশখালি, বনগাঁ সাবডিভিশনে বাগদা, পেট্রাপোল, গাইঘাটা, গোপালনগর, ব্যারাকপুর সাব ডিভিশনে নৈহাটি, শিবদাসপুর, জগদ্দল, বাসুদেবপুর, মোহনপুর, রহড়া, খড়দা, ঘোলা, নিমতা, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম। কলকাতা, সল্টলেক, বাগুইআটি, লেকটাউন, রাজারহাট ইকোপার্ক, জয়ন্তীপুর, হরিদাসপুর, বিড়া, সুতিয়া, ছায়াঘড়িয়া, বাসবঘাটা, গাঙ্গুলিয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আলিপুর সাব ডিভিশনে বারুইপুর, ক্যানিং, জীবনতলা, সোনারপুর। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনারা জানেন এরিয়াগুলোয় কারা থাকে। কাকদ্বীপ সাবডিভিশনে সুন্দরবন কোস্টাল, বারুইপুর, মল্লিকপুর, পিয়ালী, রবীন্দ্রনগর, কার্গিল পাড়া, তালদি, ঝড়়খালি, কুলতলি, গোপালগঞ্জ। এরকম আরও এলাকার নাম রয়েছে।’
মমতার দাবি, ‘বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করতেই এই চাল চেলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।’