বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় ৭৯৩টি মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি, তদন্তের নির্দেশ ইউনূস প্রশাসনের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এবারের শারদীয় দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে মোট ৭৯৩টি পুজোমণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি ছিলো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এ সমস্ত ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে এবং অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এসব ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের জানানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁরা সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। প্রতিটি ঘটনাতেই জিডি করা হয়েছে। কারা কারা জড়িত, তা অনুসন্ধান চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং দুর্গাপুজো মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের একটি চক্রান্ত হয়েছিল। এ চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মদদ ছিল, যা ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দাবি, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে প্রতিমা তৈরির সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “অন্যদিকে বাংলাদেশে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনাতেও তাদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারি এবং দুর্গাপূজা কমিটির সহযোগিতায় সেই কুচক্রীদের চক্রান্ত সরকার নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে।”
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, যে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই ঘটনায় মেডিকেল পরীক্ষায় কোনো প্রমাণই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের সহযোগিতায় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। এরই মধ্যে পার্বত্য এলাকায় অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পুজোমণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিছু বুদ্ধিজীবীও এই চক্রান্তে ইন্ধন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, গতবারের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপুজো সম্পন্ন হয়েছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ সম্পর্কেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “এ ঘটনায়ও অনুসন্ধান চলছে।” তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
