অনুপ্রবেশকারী খুঁজে বের করতে এবার হরিয়ানার নুহতে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মণিপুরের পরে, এবার হরিয়ানার নুহতে বসবাসকারী প্রায় ২০০০ অভিবাসীদের আইডি যাচাইয়ের সুপারিশ করেছে হরিয়ানা প্রশাসন৷ নুহতে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে জানা গেছে, অশান্তিতে অনেক অভিযুক্ত মিয়ানমার থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী৷ তারা অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবৈধ আইডি সংগ্রহ করেছে এবং নুহ শহরে বসতি স্থাপন করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ২০০০ রোহিঙ্গা নুহ শহরে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে বড় সংখ্যকদের কাছে জাতিসংঘ কর্তৃক ইস্যুকৃত শরণার্থী কার্ড রয়েছে। চলতি বছরের ৩১শে জুলাই নুহ শহরে সাম্প্রতিক অশান্তিতে জড়িত থাকার কারণে বিষয়টি আবারও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
নুহর এসপি নরেন্দ্র বিরজানিয়া বলেছেন, “আইডিগুলি যাচাই করা দরকার এবং তারপরে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা দাঙ্গাবাজদের সাথে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের নির্যাতনের রিপোর্টও পেয়েছি। তাই আইডিগুলি যাচাই করা দরকার এবং ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উচ্চপদস্থ সূত্রগুলি জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের নূহ থেকে সরানোর এবং ফতেহাবাদের মতো এলাকায় প্রয়োজনে বসতি স্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে, নুহ পুলিশও আরাবল্লি পাহাড়ে ২৪ ঘণ্টা ড্রোন নজরদারি শুরু করেছে যাতে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা যায় এবং প্রমাণ পাওয়া যায়।
এসপি নরেন্দ্র বিরজানিয়া আরো বলেন, আমরা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি করছি। এখন ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে। আমরা কয়েকদিন পরে তদন্তের বিশদ বিবরণ দেব। পুলিশ এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত ৫৬টি এফআইআর-এ প্রায় ২০০ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
নুহতে কারফিউ প্রায় চার ঘন্টা শিথিল করা হয়েছিল এবং এসপি এবং ডিসি ধীরেন্দ্র খড়গাতা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। বাজার খোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত যুবকদের আত্মসমর্পণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। Tribune India