Wednesday, December 17, 2025
Latestদেশ

Bankim Chandra Chattopadhyay: ‘মোদীজির উদ্যোগে ভরসা পাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওঁকে নিয়ে কিছুই করেনি’, ক্ষোভ বঙ্কিমচন্দ্র প্রপৌত্রের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা করেছে।”

সজল চট্টোপাধ্যায় জানান, “তাঁর প্রপিতামহের রচনা ‘বন্দে মাতরম’ জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক এলে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং ‘বন্দে মাতরম’ প্রচারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কখনও আমন্ত্রণ জানাননি।”


তিনি বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। মোদীজিকে আমি স্যালুট জানাই। আমার প্রপিতামহের জন্য এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু করেনি। পরবর্তী প্রজন্ম ‘বন্দে মাতরম’ ভুলে যাচ্ছে, সেই সময়ে এমন উদ্যোগ খুবই ভালো।” তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক মানুষ নই; শুধু অভিজ্ঞতা থেকে সত্যিটাই তুলে ধরছেন।”

সজল চট্টোপাধ্যায় জানান, “২০১৮ সালে অমিত শাহ কলকাতায় এসে তাঁকে সম্মান জানান এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে পরিবারের সমস্যা ও ‘বন্দে মাতরম’ প্রচার নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের কখনও ডাকা হয়নি।”


সজল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে কোনও ভবন বা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটা অবহেলারই উদাহরণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, ভবন রয়েছে। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের নামে কিছুই নেই। ভারতের প্রথম স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি।”

সজল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অবদান সম্পর্কে জানতে পারে, সেজন্য তাঁর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার এই দিকটি বিবেচনা করলে ‘বন্দে মাতরম’-এর ইতিহাস ও বঙ্কিমচন্দ্রের পরিচিতি আরও দৃঢ় হবে।”