Tuesday, November 25, 2025
Latestদেশ

‘শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষত আজ জুড়ল, বহু শতকের যন্ত্রণার অবসান হল, শতাব্দীর সংকল্প পূর্ণতা পেল’, রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলনের পর মন্তব্য মোদীর

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ। বিবাহ পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে ধ্বজারোহণের মাধ্যমে রামলালার পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় আবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যা জুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ, সঙ্গে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়।

কড়া নিরাপত্তায় মোড়া অযোধ্যা

বিশেষ অনুষ্ঠানকে ঘিরে অযোধ্যায় মোতায়েন করা হয় প্রায় ৬৯৭০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক। এটিএস, এনএসজি, সাইবার সেল, বিশেষ কমান্ডো বাহিনী, স্নাইপার—সব মিলিয়ে এক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। ব্যবহৃত হয় অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি, অ্যাডভান্সড মনিটরিং সিস্টেম, বম্ব স্কোয়াড এবং বিশেষ টেকনিক্যাল ইউনিট। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বজারোহণ উপলক্ষে প্রায় ৮ হাজার অতিথি উপস্থিত হন অযোধ্যায়।

মোদীর সঙ্গে মোহন ভাগবত

সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত একসঙ্গে রামমন্দিরে পৌঁছোন। দু’জনে রামলালার আরতি করেন। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় বহু প্রতীক্ষিত ধ্বজারোহণ। নিচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে যেতে থাকে ‘ন্যায়ের ধ্বজা’—চূড়ান্ত উচ্চতায় পৌঁছনোর সেই মুহূর্তে আবেগঘন চোখে ধ্বজার দিকে তাকিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ধ্বজারোহণ সম্পূর্ণ হতেই মোদী করজোড়ে নমস্কার জানান এবং মোহন ভাগবতের সঙ্গে ফুল উৎসর্গ করেন।

মোদীর আবেগঘন বার্তা

ধর্মধ্বজা উত্তোলনের পর মোদী বলেন, “শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষত আজ জুড়ল। বহু শতকের যন্ত্রণার অবসান হল। শতাব্দীর সংকল্প পূর্ণতা পেল। ৫০০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা যজ্ঞের আজ সমাপ্তি ঘটল। সেই যজ্ঞ এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়নি।”

মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “অযোধ্যা তথা ভারত এবার আধ্যাত্মবাদ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মহাসঙ্গম দেখবে।”

পাশাপাশি সমাজের সামনে দায়িত্বের বার্তা রেখে মোদী বলেন, “প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে—ধর্মধ্বজা সেই বার্তাই দেবে। দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেবে এই নিশান।”

মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ রূপ

গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হলেও মন্দিরের নির্মাণ পুরোপুরি শেষ হয়নি। প্রায় দুই বছর পরে কাজ সম্পন্ন হওয়ার। এবার মন্দিরের ৪৪টি দরজাই খুলে দেওয়া হবে ধর্মীয় আচার-বিধি পালনের উদ্দেশ্যে।