Sunday, November 23, 2025
Latestরাজ্য​

Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত, কড়া ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: একের পর ঘটনা। বারবার ঘটনার শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তবুও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই সিসিটিভি ক্যামেরা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সিসিটিভি বসানো নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। ঘটনায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। রীতিমতো কড়া ভর্ৎসনা আদালতের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি বসানো এবং নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন নিয়ে দেরি হচ্ছে কেন? শুক্রবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থ সারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতাকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ব্যাখ্যাকে ‘অসন্তোষজনক’ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন হয়নি, প্রশ্ন হাইকোর্টের

বেঞ্চের মন্তব্য, বহুবার অশান্তির ঘটনা ঘটলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি—এ ব্যর্থতার কারণ স্পষ্ট নয়। আদালত জানতে চেয়েছে, এতদিন ধরে কেন কার্যকর সিসিটিভি ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা হয়নি।

এই বিষয়ে রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয় উভয় পক্ষকেই ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মার্চে ওয়েবকুপার বৈঠক ঘিরে অশান্তি 

চলতি বছরের মার্চে ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযোগ, ছাত্রদের বিক্ষোভে আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং উপাচার্য। দুই ছাত্রও জখম হন। ঘটনার পর বিষয়টি আদালতে গড়ায় এবং প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়।

একাধিক অশান্তির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ১৮ বছর বয়সী স্বপ্নদীপ কুন্ডুকে খুনের অভিযোগ ওঠে। কয়েকমাস আগে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্রীর দেহ ক্যাম্পাসের ৪ নম্বর গেটের কাছের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা হলেও, কীভাবে তিনি পুকুরে পড়েছিলেন তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

সন্ধ্যা হলেই গাঁজা-মদের আসর

অভিযোগ সন্ধ্যা হলেই ক্যাম্পাস চত্বরে বসে গাঁজা, মদের আসর। এই পরিস্থিতিতে সিসিটিভি বসানো এবং নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা করাই উচিত।

একের পর ঘটনার পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে যথাযথ পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে বারবার। সেই প্রেক্ষিতে আদালত রাজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌথ বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে। বৈঠকের পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ে হাইকোর্টে।

বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলার সব পক্ষকে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে এবং কোন আপত্তি থাকলে আগামী সপ্তাহের শুনানিতে জানাতে হবে।

রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—রাজ্যের অনুমোদিত অর্থ পাওয়ার পর তারা নিরাপত্তাব্যবস্থার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেবে, তার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।