Tuesday, December 16, 2025
দেশ

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দির

হায়দ্রাবাদ: তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দির (Ramappa Temple) ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের (UNESCO World Heritage) তকমা পেল। রবিবার ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে ১৭টি দেশের সমর্থনে এই সম্মান পেল রামাপ্পা মন্দির। উনেস্কোর এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালে রামাপ্পা মন্দিরকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদার জন্য মনোনীত করে ভারত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন উনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি অনলাইন বৈঠকের আয়োজন করেছিল। নরওয়ে বিরোধিতা করলেও রাশিয়া, ইথিওপিয়া, ওমান, ব্রাজিল, স্পেন, থাইল্যান্ড, হাঙ্গেরিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ১৭টি দেশ এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। এরপর রামাপ্পা মন্দিরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো।


১২১৩ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। ৪০ বছর ধরে কাকতিয়ার রাজা গণপতিদেব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরটির প্রধান স্থপতি রামাপ্পার নামেই মন্দিরের রাখা হয়েছে। যা কিনা ইতিহাসে বিরল। কারণ গোটা বিশ্বে খুব কম মন্দিরই রয়েছে, যা তাঁর স্থপতির নামে রাখা হয়েছে।

মন্দিরটি ভগবান শিব, ভগবান বিষ্ণু, এবং সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছে। ৬ ফুট উঁচু মঞ্চের উপর মূল মন্দিরটি নির্মিত। হাজারটি স্তম্ভের উপর নির্মিত মন্দিরটির দেওয়াল, ছাদ এবং স্তম্ভগুলি প্রাচীন কারুকার্যে ভরা। যা মন্দিরটিকে ঐতিহ্য মন্ডিত করে তুলেছে। মন্দিরটি তৈরিতে এমন ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলি কিনা কখনও জলে ডোবে না।

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত অন্যান্য বেশীরভাগ মন্দিরই ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু হাজার হাজার পরেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও রামাপ্পা মন্দিরের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।