Underground Madrasa : আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে মাটির ৭ ফুট নিচে গোপন মাদ্রাসার খোঁজ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এসেছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এবার ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রামের নির্জন এলাকায় খোঁজ মিলেছে একটি মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসার। গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ ব্যবস্থার মতো এই গোপন স্থাপনা জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি ছিল কি না, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
মাটির ৭ ফুট নিচে! রহস্যময় গোপন ‘মাদ্রাসা’
তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, ধৌজ গ্রামে মাটির ৭ ফুট নিচে খোঁজ মিলেছে মাদ্রাসার। প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ওই স্থাপনার— দেওয়াল অত্যন্ত পুরু (২৩ সেমি), মাটির নিচে বিশেষ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বসানো (১.৯ মিটার প্রশস্ত), বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে সংযোগ নেই। যা দেখে প্রথমেই সন্দেহ তৈরি হয় তদন্তকারীদের মনে।
Near Al-Falah University, a very large underground construction site has been discovered, with walls that are 4 to 5 feet thick. And there are reports that they are calling it a madrasa that is under construction.
Why would there be a need to build a madrasa… pic.twitter.com/k7Lr4rLZJX
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) November 23, 2025
প্লটটি সমতল জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে মাটির নিচে কাঠামো তৈরির প্রয়োজন ছিল না। তবুও নির্মাণটি মাটির নিচে করা হয়েছে, সঠিক বায়ুচলাচল ছাড়াই।
মাদ্রাসাটি নিবন্ধিত মৌলানা ইশতিয়াকের নামে। তদন্তে জানা গেছে, তিনি দিল্লি বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত আত্মঘাতী জঙ্গি উমর উন-নবির ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুজাম্মিল শাকিলকে ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। ফলে এই ভূগর্ভস্থ স্থাপনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।
কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, আংশিকভাবে নির্মিত মাদ্রাসা তৈরিতে অর্থায়ন করেছে দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ডঃ মুজাম্মিল। ইশতিয়াককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এনআইএ।
আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়: ‘জেহাদি তৈরির কারখানা’
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নজরে আসে হরিয়ানার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনে গরমিল, বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের জঙ্গি যোগ, আত্মঘাতী জঙ্গি উমরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ইডি ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশকে ব্যবহার করা হয়েছিল চিকিৎসক, ছাত্র এবং কর্মীদের মাধ্যমে সংগঠিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে।
দিল্লি বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরে তার সহযোগী ডঃ উমর উন নবী দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটান। এই হামলায় ১৫ জন নিহত হন। ফরিদাবাদ থেকে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরকও জব্দ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এবার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রহস্যময় মাদ্রাসার খোঁজ পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।


