‘অসাংবিধানিক কার্যকলাপে জড়িত’, RSS-কে নিষিদ্ধ করার দাবি কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নিষিদ্ধের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে সরাসরি চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। তার অভিযোগ, আরএসএস অসাংবিধানিক কার্যকলাপে জড়িত এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি স্বরূপ। শতবর্ষ প্রাচীন সংগঠনটির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে উত্তপ্ত কর্রাণাটকের রাজনীতি।
চিঠিতে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে, যিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র, উল্লেখ করেছেন—“রাজ্যে আরএসএসের সমস্ত কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হোক। কোনও স্কুল, খোলা মাঠ বা সরকারি স্থানে এদের সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।” তাঁর দাবি, “আরএসএস শিশু ও যুব সমাজের মনে ঘৃণার বীজ বপন করছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এই সংগঠনের সদস্যরা লাঠি ব্যবহার করছে।”
জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কের চিঠি পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সেটি মুখ্যসচিব শালিনী রজনীশের কাছে পাঠিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পরই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র সুরে মুখ খুলেছে বিজেপি। কর্নাটক রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিজয়েন্দ্র ইয়াড়ুরাপ্পা বলেন, “প্রিয়াঙ্ক খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের সময় আরএসএস নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আরএসএস নিজে অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয় সংকটে আরএসএসের অবদান অস্বীকার করা যায় না।”
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দেশজুড়ে আরএসএসের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা কংগ্রেসের সহ্য হচ্ছে না। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিজয়েন্দ্র বলেন, “দেশের কোথাও আরএসএস সদস্যদের দ্বারা শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা ঘটেনি।”
উল্লেখ্য, আরএসএস বর্তমানে শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংগঠনের সম্মানে ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছেন। এমন সময়ে কংগ্রেস নেতার এই দাবি নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।