India’s GDP : ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির গতি আরও বাড়লো। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) প্রকাশিত সর্বশেষ হিসাব বলছে, ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। যা গত ছ’টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রথম ত্রৈমাসিকের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ তুলে ধরল ভারতীয় অর্থনীতি।
গত অর্থবর্ষে (২০২৪–২৫) একই সময়ে জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র ৫.৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির এই লাফকে উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
ট্রাম্পের শুল্কচাপেও অটুট ভারতীয় বৃদ্ধির ধারা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের শুল্কবিবাদ এখনও মেটেনি। প্রস্তাবিত বাণিজ্যচুক্তি আটকে থাকায় ভারতীয় রফতানিপণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। ট্রাম্প এমনকি ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
ট্রাম্পের শুল্কচাপের ফলে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ধস নামতে পারে আশঙ্কা করেছিলেন বহু অর্থনীতিবিদ। তবে পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি ছিল ৭.৮ শতাংশ, এবং শুল্কযুদ্ধের প্রভাব দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও তেমন দেখা যায়নি।
কোন কোন খাতে বৃদ্ধি?
এনএসও–র তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে মূলত তিনটি খাতে। উৎপাদন শিল্প, পরিষেবা খাত এবং নির্মাণ ক্ষেত্র।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভোগব্যয়ও অর্থনীতিকে বাড়তি গতি দিয়েছে। গত বছর যেখানে ব্যক্তিগত ব্যয় ছিল ৬.৪ শতাংশ, সেখানে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৯ শতাংশে।
তবে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কম। বর্ষার অনিশ্চয়তা এবং উৎপাদনহ্রাসকে অনেকেই এর কারণ হিসেবে দেখছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া
জিডিপি বৃদ্ধির এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই অগ্রগতি দেশের উন্নয়নের পথে নতুন উৎসাহ যোগাবে। দেশবাসীর কঠোর পরিশ্রম এবং সরকারের নীতি–সংস্কার এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। মোদীর আশ্বাস, সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
মোদী বলেন, ‘২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৮.২% জিডিপি বৃদ্ধি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এটি আমাদের প্রবৃদ্ধিমুখী নীতি ও সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। পাশাপাশি, এটি আমাদের দেশের মানুষের পরিশ্রম ও উদ্যোগেরও স্বীকৃতি। সরকার ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক সংস্কার চালিয়ে যাবে এবং প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রা আরও শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।


