Saturday, December 20, 2025
Latestদেশ

Kamikaze Drones: ২০০০ কোটি টাকা দিয়ে ৮৫০টি কামিকাজি ড্রোন কিনছে ভারত

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীর ব্যবহারের জন্য মোট ৮৫০টি কামিকাজি ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ড্রোন কিনতে ২ হাজার কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ড্রোন ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবটি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (DAC)-এর বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকেই কামিকাজি ড্রোন কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। অনুমোদন মিললেই শুরু হবে ড্রোন কেনার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।

প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত মে মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে প্রথমবার ব্যাপক আকারে সামরিক ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। অভিযানের সময় এই ড্রোনগুলো অত্যন্ত কার্যকর যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আগামী দিনে সেনা, নৌ ও বিমান তিন বাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে ড্রোনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কী এই কামিকাজি ড্রোন?

কামিকাজি ড্রোনকে আত্মঘাতী ড্রোনও বলা হয়। এটি এমন এক ধরনের বিস্ফোরক যুদ্ধাস্ত্র, যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেও ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থাৎ আঘাতের পর এই ড্রোন আর ফিরে আসে না। প্রযুক্তিগত দিক থেকে কামিকাজি ড্রোনকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাঝামাঝি একটি যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়।

এই ড্রোন আকাশে দীর্ঘ সময় ধরে চক্কর দিতে পারে, যাকে সামরিক পরিভাষায় লোয়িটারিং ক্ষমতা বলা হয়। সঠিক সময় ও সুযোগ বুঝে এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে। সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই বৈশিষ্ট্যই কামিকাজি ড্রোনকে আরও কার্যকর করে তোলে।

কামিকাজি ড্রোনে আগে থেকেই বিস্ফোরক বসানো থাকে। এটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে এতে স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশন ও টার্গেট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। শত্রুপক্ষের ট্যাংক, অস্ত্রভাণ্ডার, রাডার সিস্টেম ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে এই ড্রোন বিশেষভাবে কার্যকর।

নামের উৎস?

‘কামিকাজি’ নামটির উৎস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সে সময় জাপানের আত্মঘাতী সামরিক পাইলটদের ‘কামিকাজি’ বলা হতো, যারা শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেন। একই ধারণা থেকেই এই আত্মঘাতী ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে কামিকাজি ড্রোন।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই ড্রোন ক্রয়ের ফলে ভারতের সামরিক সক্ষমতা আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।