Tuesday, October 7, 2025
Latestদেশ

Beejamandal : ‘বিজামণ্ডলকে হিন্দু মন্দিরের স্বীকৃতি দেওয়া হোক, নথি থেকে ‘মসজিদ’ শব্দ অপসারণের দাবি’, পিটিশন গ্রহণ করলো গোয়ালিয়র হাইকোর্ট

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি বিজামণ্ডল (বিজয় মন্দির) হিন্দু মন্দির। সমস্ত সরকারি নথি থেকে ‘মসজিদ’ শব্দটি সরিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবি জানিয়ে গোয়ালিয়র হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের। পাশাপাশি, হিন্দুদের দাবি, সারা বছর মন্দিরে পুজো অর্চনার অধিকার নিশ্চিত করা হোক।

এই মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুপরিচিত আইনজীবী শ্রী বিষ্ণু জৈন এবং তাঁর টিম। যাঁরা কাশী বিশ্বনাথ, মথুরা এবং ভোজশালা মামলায়ও যুক্ত ছিলেন। প্রধান আবেদনকারী হলেন শ্রী হরিশঙ্কর জৈন—আযোধ্যার রাম মন্দির মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্থানীয়রাও অনেকে এই আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন। 

তাঁদের কথায়, “এটা আমাদের ঐতিহ্য, বিশ্বাস আর আত্মসম্মানের লড়াই। বিজামণ্ডল কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের পরিচয়ের প্রতীক।”

ঐতিহাসিক গুরুত্ব

বিদিশা জেলার বিজামণ্ডল প্রাচীন স্থাপত্য ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বে সমৃদ্ধ। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আংশিকভাবে অন্যভাবে ব্যবহার শুরু হয়। সরকারি নথিতে ‘মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়। এর জেরে দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানটির ধর্মীয় পরিচয় ও পুজোর অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছিল।


আবেদনকারীদের মতে, বিজামণ্ডলকে হিন্দু মন্দির হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া কেবল ধর্মীয় প্রয়োজন নয়, ভারতের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যও জরুরি। এই আইনি উদ্যোগ ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

হিন্দু সমাজ আশাবাদী 

আদালত পিটিশন গ্রহন করাকে বিদিশার হিন্দু সমাজ এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে। তাঁদের আশা, চূড়ান্ত রায়ে বিজামণ্ডলকে মন্দির হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং পুজো অর্চনার অধিকার নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে এই স্থাপনার ঐতিহাসিক মর্যাদাও অটুট থাকবে।

আবেদনকারীরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রী হরিশঙ্কর জৈন ও শ্রী বিষ্ণু জৈনকে। তাঁদের কথায়, “এই উদ্যোগ আমাদের পূর্বপুরুষদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের লড়াই। আগামী প্রজন্ম যেন অবাধে ভগবানের পূজা করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

গোয়ালিয়র হাইকোর্টের এই পদক্ষেপকে অনেকেই বিদিশার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পুনর্জাগরণের পথে এক ঐতিহাসিক মোড় বলে আখ্যা দিচ্ছেন।