বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৯টি মণ্ডপে হামলা, নির্বিঘ্নে পুজো নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, নিরাপত্তায় র্যাবের ২৮১টি টহল দল
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশে চলছে দুর্গাপুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে সারাদেশে ব্যস্ত মণ্ডপ ও মন্দির কমিটি। এ বছর বাংলাদেশের ৩১ হাজার ৫২৬টি পুজোমণ্ডপে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
শিল্পীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রতিমা স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে, কারণ ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী। তবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানালেও, দেশে দুর্গাপূজা নিয়ে কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯টি পুজোমণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় গোলযোগের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ বেড়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, “পুজোর প্রাক্কালে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আশান্বিত হতে পারছি না, বরং উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।” তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে উৎসবকালে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ঢাকায় ৯৪টিসহ সারা দেশে মোট ২৮১টি টহল দল মোতায়েন থাকবে র্যাবের। দুর্গাপূজা চলাকালীন যেকোনও ধরনের সহিংসতা, নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা রোধে গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়ন স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও পুজো উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কেউ যদি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, বিগত বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপুজো উদযাপিত হবে।