G RAM G Act: রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইনে পরিণত হলো ‘জি রাম জি’
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদনের পর আইনে পরিণত হল মোদী সরকারের আনা ‘বিকশিত ভারত–গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)’ বিল। সংক্ষেপে পরিচিত ‘জি রাম জি’ বিল হিসেবে। রবিবার এই বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকসভা এবং মধ্যরাতে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল বিলটি। সংসদে পেশের মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই আইনি স্বীকৃতি পেল নতুন এই গ্রামীণ রোজগার প্রকল্প।
এর ফলে মনরেগা আইনের কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে চালু হওয়া মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট বা মনরেগা সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিল ‘১০০ দিনের কাজ’ হিসেবে। নতুন আইনে সেই ১০০ দিনের নিশ্চয়তা তুলে দিয়ে ন্যূনতম ১২৫ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নতুন আইনের ধারা ৫(১) অনুযায়ী, সাধারণ উপভোক্তারা বছরে কমপক্ষে ১২৫ দিনের কাজ পাবেন। তবে বনাঞ্চলে বসবাসকারী তফসিলি উপজাতিভুক্ত নাগরিকদের জন্য এই সীমা বাড়িয়ে ১৫০ দিন করা হয়েছে। পাশাপাশি ফসল কাটার মরসুমে অতিরিক্ত ৬০ দিনের ছাড় দেওয়া হবে। বাকি বছরের মধ্যে কাজের গ্যারান্টি পূরণ করা হবে মোট ১২৫ দিনের হিসাব অনুযায়ী।
অন্যদিকে, অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও বড় বদল আনা হয়েছে। যেখানে এতদিন মনরেগা প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ বহন করত কেন্দ্র, সেখানে জিরামজি আইনে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ব্যয়ের অনুপাত নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০:৪০। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যগুলির উপর আর্থিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মোদী সরকারের দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার লক্ষ্যেই এই নতুন আইনি কাঠামো। সরকারের মতে, গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, রোজগারের সুযোগ বাড়ানো এবং জীবিকার নিশ্চয়তা দিতেই জিরামজি বিল আনা হয়েছে।


