Kasba Law College Case : ‘মামলা তুলে না নিলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে’, কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি। নির্যাতিতার বাবার দাবি, তাঁকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
‘মামলা তুলে না নিলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে’
নির্যাতিতার বাবা জানান, গত১৯ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুটি মোটরবাইকে তাঁকে অনুসরণ করে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব না দিলেও, কিছু দূর যাওয়ার পর ওই ব্যক্তিরা সোজাসুজি তাকে বলেন, ‘মামলা তুলে না নিলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।’ নির্যাতিতার বাবা সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন, বিষয়টি তাঁর মেয়ের গণধর্ষণ মামলার সঙ্গে যুক্ত।
পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা ন্যায়বিচার চাইছি। এই ধরনের হুমকি আমাদের আরও আতঙ্কিত করছে।”
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ
বারুইপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ আশঙ্কা করছে, মামলার অগ্রগতিকে থামাতে কোনও অভিযুক্তরা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তদন্ত কোন পর্যায়ে?
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই কসবা ল কলেজে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে। জুনের ২৫ তারিখের এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগস্ট মাসে জমা পড়ে চার্জশিট।
চার অভিযুক্ত হলেন—
মনোজিত মিশ্র (৩১): প্রাক্তন কন্ট্রাকচ্যুয়াল স্টাফ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা, প্রধান অভিযুক্ত
জয়েব আহমেদ (১৯): শিক্ষার্থী
প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০): শিক্ষার্থী
পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫): কলেজের নিরাপত্তারক্ষী
বর্তমানে তিনজন অভিযুক্ত জেলবন্দি। নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় জামিনে মুক্ত।
আতঙ্কে ভুগছে নির্যাতিতার পরিবার
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তারা ভয় দেখিয়ে মামলা দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, এই ধরনের হুমকি ন্যায়প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার স্পষ্ট চেষ্টা এবং পুলিশের উচিত দ্রুত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি
পুলিশের তদন্ত চললেও পরিবারটি এখন নিরাপত্তা চাইছে। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।


