Wednesday, November 26, 2025
Latestদেশ

Delhi blast case: দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডে গ্রেফতার আরও এক

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। ফরিদাবাদ জেলার ধাউজ এলাকা থেকে সোয়েব নামে এক যুবককে আটক করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, আত্মঘাতী হামলাকারী ‘জেহাদি চিকিৎসক’ উমর উন নবি ওরফে উমর মহম্মদকে বিস্ফোরণের ঠিক আগে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সোয়েব। পাশাপাশি, উমরের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও তার মাধ্যমেই পৌঁছেছিল বলে দাবি এনআইএ–র।

৭ জন গ্রেফতার, একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে

লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আই২০ গাড়ি ব্যবহার করে আত্মঘাতী হামলা চালায় উমর উন নবি। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করছিল।

গত দুই সপ্তাহে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকেই বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ‘হোয়াইট কলার’ জেহাদিকে পাকড়াও করেছে এনআইএ। তাদের জেরা করে উঠে আসছে জইশের শহুরে নেটওয়ার্ক, রিক্রুটমেন্ট এবং ফান্ডিং–সংক্রান্ত বহু তথ্য।

জেহাদি চিকিৎসকদের চক্র: আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ

তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার ‘জেহাদি চিকিৎসকদের’ মাধ্যমেই বহু র‌্যাডিক্যালাইজড ছাত্রকে জইশের দিকে টেনে আনা হয় বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুজাম্মিল শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। জেরায় সে জানিয়েছে, জইশের ভারত-অপারেশন সামলানোর প্রাথমিক দায়িত্ব তাকে দেওয়া হলেও উমর মহম্মদের মেধা ও অভিজ্ঞতার তুলনায় সে ‘নিছক শ্রমিক’।

তদন্তে প্রকাশ, উমর মহম্মদ ছিলেন জইশের অন্যতম সবচেয়ে মেধাবী সদস্য—৯টি ভাষায় দক্ষ, এবং চাইলে ‘পরমাণু বিজ্ঞানী হতে পারত’ বলেই দাবি শাকিলের। হামলার কোডনেমও দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন আমির’, যা উমরের জঙ্গি পরিচয়ের সঙ্গে মিল রেখেই নির্ধারিত হয়েছিল।

দুই বছর ধরে হামলার ছক, লক্ষাধিক টাকা খরচ বোমা তৈরিতে

তদন্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, দিল্লিতে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা প্রায় দুই বছর ধরে চলছিল। বোমা তৈরিতে খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। সংগঠিত শহুরে নেটওয়ার্ক—চিকিৎসক, ছাত্র এবং ‘হোয়াইট কলার’ পেশাজীবীদের যুক্ত থাকার জেরে এই জেহাদি মডিউলকে ‘হোয়াইট কলার টেরর’ হিসেবে চিহ্নিত করছে এনআইএ।

একাধিক রাজ্যে তল্লাশি

বিস্ফোরণের পর থেকে এনআইএ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে। শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েক জন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই কাশ্মীরের বাসিন্দা। দু’জন মূল ষড়যন্ত্রী–সহ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থা।

তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা জইশ–ই–মহম্মদের শহুরে র‌্যাডিক্যাল নেটওয়ার্কের ভয়াবহ চিত্র।