Babri Masjid Murshidabad: ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীর, পোস্টারে ছয়লাপ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: আগামী ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদে বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ইতিমধ্যেই পোস্টার ছয়লাপ মুর্শিদাবাদ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলা থেকে রাজ্য রাজনীতিতে।
৬ ডিসেম্বরই কেন?
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। ২০২৫ সালে সেই ঘটনার ৩৩ বছর পূর্তির দিনেই মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হুমায়ুন। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, আগামী তিন বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ মসজিদ তৈরি হবে।
THIS ISN’T ABOUT FAITH. ON THE CONTRARY IT’S ABOUT WEAPONISING FAITH LIKE BABUR DID.
Posters of Babri Masjid put up in Murshidabad, Bengal. TMC MLA Humayun Kabir has said, “We will lay the foundation stone of Babri Masjid here on 6th Dec.”
BENGAL’S MURSHIDABAD FOR BABUR? pic.twitter.com/VEvG1aM1yh— Rahul Shivshankar (@RShivshankar) November 26, 2025
নীরব তৃণমূল, হুমায়ুনের অবস্থান দৃঢ়
এই ঘোষণাকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক তাপমাত্রা চড়ছে, তখন তৃণমূল এখনও পর্যন্ত বিষয়টিতে কোনও মন্তব্য করেনি। দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে হুমায়ুনের। একাধিকবার শোকজ হলেও তিনি নিজস্ব পথে অনড়। এমনকি নতুন দল গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবু তাকে এখনও বহিষ্কার করেনি তৃণমূল।
বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়া
বাবরি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগকে ‘হিন্দু সমাজের ভাবাবেগে আঘাত’ বলে দাবি করেছে বিজেপি।বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “সারা দেশ রাম মন্দির নির্মাণের আনন্দে মাতোয়ারা। ঠিক সেই সময় বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা হিন্দুদের প্রতি ঘৃণার সমান।”
বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, “এটি বাংলার হিন্দুদের উদ্দেশে বার্তা। মমতার দলের লোকেরা কীভাবে হিন্দুদের ভয় দেখাচ্ছে, সম্প্রীতি নষ্ট করছে, তা বোঝা যাচ্ছে।”
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, “ভারতে মসজিদ নির্মাণে কোনও বাধা নেই। কিন্তু বাবরি মসজিদ বানানো আমাদের মতাদর্শের বিরোধী। বাবর ছিলেন আক্রমণকারী। তাকে দেশের মানুষ সম্মান করবে না।”
হুমায়ুনের পাল্টা দাবি
বিজেপির অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন। তার বক্তব্য, “আমরা ৬ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবই। এটি ধর্মীয় অধিকার ও স্থানীয় মানুষের দাবি।”
চাপের মুখে তৃণমূল
মুর্শিদাবাদে এই ঘটনায় কার্যত দ্বিমুখী চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল। একদিকে দলের ভিতরে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ক্রমশ বাড়তে থাকা অসন্তোষ, অন্যদিকে বিজেপির আক্রমণ। এখনও তৃণমূলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও, আগামী দিনে বিতর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।


