দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১, দেশের একাধিক শহরে জারি হাই-অ্যালার্ট
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার মেট্রো স্টেশনের সামনে পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে দেহাংশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিস্ফোরণের শব্দে প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প হয়েছে। তারপরই দেখা যায় আগুনের গোলা ছিটকে বেরোচ্ছে দুটি গাড়ি থেকে। আশপাশের দোকানগুলির কাচ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ। রক্তে ভেসে গেছে রাস্তা। কেউ কেউ জানান, “চোখের সামনে মানুষ ছিটকে পড়ছিল।”
দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে। এনএসজি ও এনআইএ-র বিশেষ দল পৌঁছে গিয়েছে তদন্তে। এলাকায় চলছে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিস্ফোরণের উৎস নির্ধারণের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনার পরপরই ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা ব্যুরো প্রধান, এনএসজি এবং এনআইএ প্রধানের কাছ থেকে তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফরিদাবাদে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে উদ্ধার হয় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার হয় কাশ্মীরী চিকিৎসক আদিল আহমেদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ফরিদাবাদের অভিযানে মেলে বিপুল বিস্ফোরক সামগ্রী।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ থাকতে পারে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ধরন ও উদ্ধার হওয়া উপাদানের মিল খোঁজা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর দেশের একাধিক শহরে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।


