‘কোনও যুদ্ধবিরতি নয়, আপনারা বন্দুক নামান, পুলিশ গুলি চালাবে না’, মাওবাদীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: গত ৯ মাসে অন্তত ২১০ জন শীর্ষনেতাকে খতম করা হয়েছে। এরপরেই মাওবাদীদের তরফে ‘অস্থায়ী সংঘর্ষবিরতি’ এবং শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে রবিবার সেই প্রস্তাব সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “কোনও সংঘর্ষবিরতি নয়; অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে হবে।”
অমিত শাহ বলেন, মাওবাদীদের তরফে একটি চিঠি ঘোরাফেরা করছে যেখানে বলা হয়েছে শান্তি আলোচনার জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন। কিন্তু অমিত শাহর সাফ মন্তব্য, “কান খুলে শুনে রাখুন, কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না। আপনারা বন্দুক নামান। পুলিশ গুলি চালাবে না।” তিনি একই সঙ্গে জানান, মাওবাদীরা যদি আত্মসমর্পণ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকার সহানুভূতির দৃষ্টিতে সেটি বিবেচনা করবে।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদীদের শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতা তেলেঙ্গনার ভদ্রাদ্রি-কোঠাগুডেম জেলায় জরুরি বৈঠকে বসেন এবং পরে মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও (ওরফে কিষেণজির ভাই)–এর নেতৃত্বে সরকারের কাছে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে মাওবাদীরা দাবি করেছে, “ভবিষ্যতে আমরা জনগণের স্বার্থে লড়াই করা সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের সঙ্গে মিলে কাজ করব” এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় তারা প্রস্তুত।
পেশাগত নিরাপত্তা কার্যক্রম ও গেরিলা নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধারাবাহিকতায় গত এপ্রিলে ছত্তিসগড়ের অবুঝমাড়ে নাম্বালা কেশব রাও (ওরফে বাসবরাজু)–কে প্রাণে খতম করা হয়, যা মাওবাদী আন্দোলনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘবদ্ধ অভিযান এবং চূড়ান্ত দমননীতির মধ্যেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য স্পষ্ট: দেশকে মাওবাদী প্রভাবমুক্ত করা। অমিত শাহ জানিয়েছেন, মোদী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ — ৩১ মার্চ, ২০২৬–এর মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করা হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, যাঁরা অস্ত্রছাড়া করে আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁদের প্রতি সহানুভূতি থাকবে।