পুঞ্চে ৭টি AK-47 উদ্ধার, গ্রেফতার ৩ জঙ্গি, ফের উপত্যকায় ঘাঁটি গাড়ছে হিজবুল মুজাহিদিন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য। পুঞ্চ জেলায় অভিযানে ৭টি AK-47 এবং প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে হিজবুল মুজাহিদিনকে অস্ত্র পাচারে সহায়তা করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হলেন আজামাবাদের তারিক শেখ, চেম্বার কিনারি গ্রামের রিয়াজ আহমেদ এবং মোহাম্মদ শফি, তাদের সকলের বয়স ২০-এর কোঠায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযান চালায় সেনা।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় তল্লাশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ২২টি গ্রেনেড, একটি আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, ১৫টি AK-47 রাউন্ড এবং আধা কেজি কালো গুঁড়ো বিস্ফোরক পদার্থ।
৩০ আগস্ট আজামাবাদে দুটি রাইফেল উদ্ধারের পর শেখ এবং রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ মান্ডি জালিয়ানে শেখের ভাড়া বাড়িতে যায়, সেখানে আরও দুটি রাইফেল উদ্ধার হয়। এরপর শফিকে গ্রেফতার করা হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর সাওজিয়ানের সীমান্তের কাছে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তিনটি রাইফেল এবং সাতটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুলিরা ইতিমধ্যে দুটি চালানে পাচার করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু তৃতীয় চালানটি পরিবহনের আগেই তাদের ধরা পড়ে। সূত্র আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানি হ্যান্ডলাররা অস্ত্র ভারতে পৌঁছে দিচ্ছে।
জম্মুর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ভীমসেন টুটি পুলিশ দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। X-এ লিখেছেন, “দৃঢ় সংকল্প এবং নিরলস তদন্তের ফলে পুঞ্চে ৭টি একে এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
T-60
Fantastic investigation by JKP.Dogged determination and relentless investigation leads to the arrest of 03 terror sympathisers, along with the recovery of 07 AKs (04 recovered earlier) and a large quantity of warlike stores in Poonch.@JmuKmrPolice pic.twitter.com/WcdjsqwBOl
— IGP Jammu (@igp_jammu) September 14, 2025
পুলিশ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারে এটা প্রমাণ করছে যে, উপত্যকায় ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে হিজবুল মুজাহিদিন। তারা তল্লাশি অভিযান বাড়িয়েছে।
ধৃতরা হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার হাবিবুল্লাহর হয়ে কাজ করছিল বলে জানা গেছে। হাবিবুল্লাহ ১৯৯০-এর দশকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল। পুলিশের মতে, সে সম্প্রতি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং পুঞ্চ এলাকায় হিজবুলের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করার চেষ্টা করছে।
তথ্যসূত্র: OP India