ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়াড়ায় আত্মসমর্পণ করলেন ৭১ মাওবাদী
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের বস্তারে সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচির সাফল্য আরও একবার স্পষ্ট হল। দন্তেওয়াড়ায় বুধবার ৭১ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন মহিলা, দুই নাবালিকা ও এক নাবালক।
দন্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম বামন মডকাম ও মানকি ওরফে সামিলা মান্ডভী। দু’জনেই সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) শীর্ষ নেতা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। একইসঙ্গে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন শামিলা ওরফে সোমলি কাওয়াসি, গাঙ্গি ওরফে রোহনি বারসে, দেবে ওরফে কবিতা মাডভী এবং সন্তোষ মান্ডাভী— যাঁদের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা করে।
পুলিশের হিসাবে, এদিন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে ৩০ জনের মাথার মোট দাম ৬৪ লক্ষ টাকা।
গৌরব রাই জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীরা রাজ্য সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভাল গ্রাম) প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। তিনি আরও বলেন, বস্তার ডিভিশনে চলমান ‘লোন ভারাতু’ এবং ‘পুনা মারগেম’ কর্মসূচির প্রভাবেই মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। এরপর ২০২৪ সালে পুলিশ শুরু করে ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার অভিযান। এ বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি মেনে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ছত্তিশগড়কে মাওবাদী-মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে সরকার, যার অংশ হিসেবেই চালু হয়েছে নতুন ‘নিয়াদ নেল্লানার’ প্রকল্প।
পুলিশের দাবি, এই ধারাবাহিক কর্মসূচির ফলেই একের পর এক মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।