Tuesday, October 14, 2025
Latestরাজ্য​

‘দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত নাসিরুদ্দিন তৃণমূল ক্যাডার,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকে গণধর্ষণ। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে— নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, সঙ্গে প্রবল রক্তক্ষরণও হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিন বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুভেন্দু বলেন, “শেখ নাসিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাসিরুদ্দিন দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী। সে তৃণমূলের লোকাল ক্যাডার। ওর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার। শাসকই যদি শোষক হয়ে ওঠে, তাহলে আইনের শাসন আশা করা যায় না।”

শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, প্রশাসন ও শাসকদলের চাপে নির্যাতিতার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “চিকিৎসকের সঙ্গে আমায় তো দূর অস্ত, নির্যাতিতার বাবা-মাকেও দেখা করতে বা কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসককে নাকি চাকরি চলে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। ফলে বাবা-মাকেও কিছু জানানো হচ্ছে না।”

বিরোধী দলনেতা আরও জানান, নির্যাতিতার পরিবার রাজ্যে মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, “ওঁরা মেয়েকে ওড়িশার ভুবনেশ্বর AIIMS-এ নিয়ে যেতে চান। মেয়েকে এখানে আর নিরাপদ মনে করছেন না। ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়েকে এখানে ডাক্তারি পড়াতে ভর্তি করেছিলেন, কিন্তু এখন সেটি বন্ধ করতে চাইছেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ফোন করে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পরও রাজ্যে নেই, মিরিকে গিয়েছেন। সেখানে ঠান্ডার আবহে ব্যাডমিন্টন খেলছেন।”

শুভেন্দুর অভিযোগে রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে।