Tuesday, November 11, 2025
Latestরাজ্য​

ভারত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী- যেসব হিন্দু ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তাঁদের কোনো ভয় নেই

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে SIR ঘোষণা হওয়ার পরেই জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কেননা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের একটা বৃহৎ অংশ বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে চলে এসেছেন। তাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, SIR হলে নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে না তো? বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে না তো? তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করেছে, হিন্দুদের কোনো ভয় নেই।

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় এ বিষয়ে বলেন, “আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সুমন হাওলাদার নামক ব্যক্তি, স্পষ্টতই হিন্দু, বাংলাদেশে পালাবার চেষ্টা করছিলেন। কারণ তাঁর ধারণা ছিল, যদিও তিনি অনেকদিন আগে এসেছেন, এসআইআর হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করবে – যদিও ভারত সরকার স্পষ্ট ঘোষণা করেছে, যেসব হিন্দু ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তাঁরা বেআইনী অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য হবেন না।

ভারত সরকারের উচিত, এই ঘোষণাটা টিভি রেডিও এবং খবরের কাগজ মারফত বিশাল আকারে জনসাধারণকে জানানো। এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির উপরেও দায়িত্ব বর্তায়। অতীব দুঃখের বিষয় রাজ্য বিজেপিতে ‘প্রচার’ ব্যাপারটা কখনোই প্ৰয়োজনীয় গুরুত্ব পায়নি। সবাই ব্যস্ত কেবল দলীয় পদ পাওয়া নিয়ে।”

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। আটক বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের মুক্তির দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছেন CAA আন্দোলনকারী ও আইনজীবীরা। 

অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫’ পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু করেছে ভারত। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের কোনও সংখ্যালঘু যদি ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন চালু হওয়া একটি আইনে ছাড় দেবে ভারত।

এর আগে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের অমুসলিমরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর এর মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিলে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই সময়সীমা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে নতুন আইনে।